শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটাই আমাদের প্রশ্ন ৷ চাকরি নেই, তাহলে ভোটকর্মী কী হিসেবে কাজ করলেন৷ তাহলে নির্বাচন কমিশন তাঁদের অযোগ্য মনে করেনি৷ এই পয়েন্টটা আমরা সুপ্রিম কোর্টে জানাব।’ তাঁর কথায়, যোগ্য-অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বিচার এসএসসি করেছে ৷ হলফনামা দিয়ে তিনবার আদালতে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা জমা করেছে৷ স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বশাসিত একটা সংস্থা হয়ে কীসের ভিত্তিতে যোগ্য-অযোগ্য বিচার করেছে, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে তারা সেটা আদালতে জানিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আগেই জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, ২০ ডিসেম্বর, ৫ জানুয়ারি মোট তিনবার হলফনামা দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। নবম-দশম ৮১১জন, একাদশ-দ্বাদশ বিভাগে ৯৯৩ জন, গ্রুপ সি ১১৩৩, গ্ৰুপ দি ২৩১৩ জন প্রার্থী অযোগ্য বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘এরা সব বেআইনি উপাচার্য।, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে, এরা কেউ উপাচার্য নন। তাহলে কেন যে এটা সবাই গদি আঁকড়ে পড়ে আছে। রাজ্যপাল হয়তো তাদেরকে থাকতে বলেছেন। রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকেও নিয়োগের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। আর মাইনা কিন্তু শিক্ষা দফতর দেবে। তারা যদি নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি দিয়ে থাকেন সেটা কিন্তু শিক্ষা দফতর দ্বারা অনুমোদিত নয়।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক মাদ্রাসা এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকা , শিক্ষক শিক্ষিকাকে নিয়ে একটি নির্বাচনী কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ ও অন্যান্যরা।
