জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে চার চাকার গাড়িসহ ওই বিজেপি নেতাকে আটক করে পুলিশ ও ফ্লাইং স্কোয়াড। এরপর উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার পাঁচশো টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর ওই বিজেপি নেতার নাম শান্তনু ঘোষ। তিনি বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। তাঁর গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় টাকা।
নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু থাকার কারণে একটি নির্দিষ্ট অংশের বেশি নগদ টাকা নিয়ে ঘোরাফেরা করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তবে, রাজনৈতিক কোনও কাজের জন্য নয়, ব্যবসার টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে যাচ্ছিলেন বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার। তবে, ওই টাকার উৎস কী> জানতে চান নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের সদস্যরা। টাকার সঠিক উৎস জানাতে না পারায় বাজেয়াপ্ত নগদ অর্থ বলে দাবি কমিশন প্রতিনিধিদের।
বিয়ষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের সময় এভাবে নগদ টাকা নিয়ে যাতায়াত নিয়ম বহির্ভূত। যে দলের নেতা হোন না কেন, কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানালেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেই জলপাইগুড়িতে এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছিল। এরপর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ঘোষপুকুর এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় সিংহের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দাবি করে, নির্বাচনের গায়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে নগদ টাকা বিলি করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। এরপরেই হাতেনাতে ধরা পড়ে সঞ্জয় ও তাঁর সঙ্গীরা। এবার মালদা জেলাতেও ঘটল একই ঘটনা।