Dilip Ghosh: কর্মসংস্থান ও ওষুধের দাম নিয়ে ‘সিপিএমে’র চোখা প্রশ্নে তর্কে কি ‘হারলেন’ প্রচারমুখী দিলীপ?


পার্থ চৌধুরী: ভোটারের প্রশ্নে বেসামাল দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিনের মত সোমবারও কালিবাজারে প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। 

এদিন তিনি বসে কথা বলার সময় তার সঙ্গে দেখা করেন বিষ্টু সরকার। তিনি পূর্ত দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বাড়ি শাঁখারী পুকুর আবাসনে। তাঁর মা থাকেন কালনাগেটের বাড়িতে। সেখান থেকে ফেরার পথে এক বিজেপি কর্মীর আহ্বানে দিলীপ ঘোষের মুখোমুখি হন।

প্রথমে হাত মেলান এবং তারপরেই চোখা-চোখা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন দিলীপ ঘোষের দিকে। রীতিমতো যুক্তির লড়াই চলে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ওই ব্যক্তির।

একসময়ে তাঁকে সিপিএম-এর লোক বলে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন দিলীপ। যদিও তার পরেও একটানা কথার লড়াই চালিয়ে যান তিনি। যদিও সব প্রশ্নের উত্তর দিলীপ ঘোষ দিতে পারেননি বলে প্রশ্নকর্তার দাবী।

কী ছিল সেই কথোপকথনে?

প্রশ্ন: রেলের সিনিয়র সিটিজেনদের ছাড় তুলে দিলেন কেন?

দিলীপ ঘোষ: ওটা আবার চালু করা হবে।

প্রশ্ন: কিন্তু তুললেনই বা কেন? ইলেক্টোরাল বন্ডে বিজেপি কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। তাতে ওষুধের দাম বাড়ছে।

দিলীপ ঘোষ: আপনি বিশ্বাস করেন? সিপিএম দের কথা? ওরাও নিয়েছে। যারা বলছে।

আরও পড়ুন: Durgapur: BJP-তে যোগ দিতেই বাড়িতে পড়ল বোমা, তারপর…

প্রশ্ন: সিপিএম যদি নিয়ে থাকে! ওরাই তো মামলা করল।

দিলীপ ঘোষ: নেয়নি টাকা?

প্রশ্ন: ওরা ব্যতিক্রম।

দিলীপ ঘোষ: ব্যতিক্রম বলবেন না। যারা খেয়ে হজম করল সিপিএম-টিএমসি তারাই কমপ্লেন করল। আপনি সিপিএম।

এরপর দিলীপ ঘোষ তাঁকে জানান, মোদীজি কম দামে ওষুধের দোকান করেছেন। ৯০ পার্সেন্ট ছাড়ে। সেখান থেকে ওষুধ কিনুন।

এরপরে দিলীপ ঘোষ পালটা যুক্তি সাজিয়ে তিনি বলেন ফ্রিতে চাল পাচ্ছেন। গ্যাস পাচ্ছেন। আরও অনেক কিছু পাচ্ছেন।

প্রশ্ন: আমি এসব চাই না।

দিলীপ ঘোষ: আপনার আছে বলে চাই না। এইসব গরিবরা বাঁচবে না। আপনি কী  বলবেন আমি বুঝে গেছি। বাংলাকে শ্মশান করেছে।

প্রশ্ন: আমার মেয়ে মাস্টার ডিগ্রি করে বসে আছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নেয়নি। একটা জব চায়।

দিলীপ ঘোষ: সেটা ভাল করেছে।

আরও পড়ুন: Beldanga Bomb Blast: রেজিনগরের পর বেলডাঙায় মজুত বোমা! বিস্ফোরণে পাঁচিলের একাংশ, উড়ল রান্নাঘরের চাল

প্রশ্ন: কিন্তু কর্মসংস্থান তো হয় নি।

দিলীপ ঘোষ: সব হবে দাদা। সব হবে। না খেয়ে কেউ মরছে না দাদা।

এরপরেও ওই ভোটার তার যুক্তি চালিয়ে যান।

প্রশ্ন: দুই কোটি চাকরি দেবেন বলেছিলেন। কোথায় চাকরি? আরও চাকরি চলে গেল!

এর মধ্যেই একজন কর্মী কিছু বলতে গেলে তাকে থামিয়ে দেন দিলীপ। বলেন, ওনাকে কম দামে  ওষুধের দোকানের ঠিকানাটা বলে দাও।

বিষ্টু সরকার পরে জানান, তিনি তার প্রশ্নের জবাব পাননি। তিনি সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়ে এসেছেন হ্যান্ডশেক করেই।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *