বামদের সবথেকে বড় ঘুঁটিকেই এবার এই কেন্দ্রে লড়তে পাঠানো হয়েছে। কংগ্রেসকে সঙ্গী করে গোটা কেন্দ্র জুড়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন সেলিম। ভালো ফলের আশায় অনেকটা আশাবাদী লাল ঝান্ডার দল। সিপিএমের দাবি, ২০১৯ সালে কংগ্রেস সিপিএম আলাদাভাবে লড়াই করেছিল। কিন্তু, এবার এই কেন্দ্রে তাঁরা জোট সঙ্গী। ফলত, ২০১৯ সালে তাদের প্রাপ্ত ভোটের অঙ্ক একসঙ্গে করলে অবস্থান হয় ৩৮.৪৪ শতাংশ। যা তৃণমূলের থেকে মাত্র ৩.১৩ শতাংশ কম। সেটাই ভরসা সেলিমের।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে মুর্শিদাবসদ লোকসভা কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোট তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগঠিত করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার ব্যপক প্রভাব পড়েছে। এই কেন্দ্রে বাম কংগ্রেস জোট সংগঠিত। হেভিওয়েট প্রার্থীও পেয়েছি। ফলে জয় নিয়ে আমরা নিশ্চিত।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু তাহের খান গতবার এই কেন্দ্র থেকে আড়াই লাখের বেশি ভোট জয়ী হন। এখানেই শেষ নয়। গত বিধানসভায় একমাত্র মুর্শিদাবাদ বিধানসভা বাদ দিয়ে এই কেন্দ্রের বাকি ছয়টি বিধানসভা আসন নিজেদের আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ভরসা সেখানেই। জলঙ্গি থেকে ভগবানগোলা, ডোমকল থেকে করিমপুর, নাম ঘোষণার পর থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে তাঁর। শারীরিক ভাবে কিছুটা অসুস্থতা থাকলেও প্রচারে সেটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
গোটা লোকসভা কেন্দ্রে একমাত্র সবেধন নীলমণি মুর্শিদাবাদ বিধানসভা আসন। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলের ত্রিমুখী শক্তির সামনে এই আসনটি জিতে নেয় বিজেপি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষকেই এবার লোকসভার ময়দানে নামিয়েছে গেরুয়া শিবির। বলে রাখা প্রয়োজন, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসন হল- ভগবানগোলা, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ, হরিহরপাড়া, ডোমকল, জলঙ্গি এবং করিমপুর। এর মধ্যে করিমপুর বিধানসভা আসনটি নদিয়া জেলায়। বাকি যে ৬টি কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলি মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে পরে।