ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ
অভিযোগ, রবিবার মাটিগাড়ার খোলাইবক্তরি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। বিজেপির ২৮৮ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি নন্দপ্রসাদ গুপ্তা ও আরও চারজনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান হয়। প্রতিবাদে রবিবার রাতেই মাটিগাড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ১২ ঘণ্টা বনধ হবে বলে রবিবার রাতেই জানিয়ে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল। সেই মতো সোমবার সকাল থেকে মাটিগাড়ার বিভিন্ন এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। মাটিগাড়া থানার সামনেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। খাপরাইল মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ হঠিয়ে দেয়।
বনধে কেমন প্রভাব?
ভারতীয় জনতা পার্টির বনধে মাটিগাড়া বাজার এলাকায় কিছুটা প্রভাব দেখা যায়। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনও ধরনের অশান্তি এড়াতে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাটিগাড়া থানার পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিজেপি-তৃণমূল তরজা শুরু
এই ঘটনায়, শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব সভাপতি অরিজিৎ দাস বলেন, ‘ভোটের পর তৃণমূল কর্মীরা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’ পাশাপাশি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা বলেন, ‘ভোট পরবর্তী এই হিংসা আমরা মেনে নেব না। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে বলব যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।’ এদিকে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বিজেপিই অশান্তির সৃষ্টি করতে চাইছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ তারিখ ভোট হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছেন এলাকার বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা। পাশাপাশি গোপাল লামা লড়েছেন তৃণমূলের টিকিটে। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী লড়াইতে নামেন মুণীশ তামাং।