এদিন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘কলকাতা হাইকোর্টর রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ নয়। আগে পুরো মামলাটি শুনব।’ পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘ওএমআর শিট যেখানে নষ্ট করা হয়েছে, সেখানে যোগ্য- অযোগ্য বাছা হবে কী ভাবে?’ ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, কলকাতা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থাৎ চাকরি বাতিল এবং নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের যে রায় ছিল তার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টর রায়ের ৮ নম্বর আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টর রায়ে বলা হয়েছিল, সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি যাঁরা করেছিলেন, প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা যাবে। রায়ের এই অংশটির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন হাজার হাজার চাকরিহারা অপেক্ষা করেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যেই এই ২৬ হাজার জন আলাদা করে নেমেছেন আন্দোলনে। তাঁদের দাবি ছিল, কিছু অযোগ্যদের জন্য অনেক যোগ্য়দের চাকরি চলে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিষয়টি বিচার করুক এমনটাই চাইছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা আগেই দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন কেউ পাশে থাকুক না থাকুক তিনি আইনি লড়াই জারি রাখবেন।সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়ার কথা শোনা গিয়েছিল চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের একাংশের মধ্যেও।