পরবর্তীকালে বেলুড় মঠের সপ্তম সভাপতি স্বামী শঙ্করানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫৭ সালে তিনি বাগবাজার নিবেদিতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে সারদা মঠের সঙ্গে যুক্ত হন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। ২০২২ সালে মঠের চতুর্থ সভাপতি প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান হয়। এরপরেই ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই পদে আসীন হন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। তবে এর আগে বহু বছর সঙ্ঘের সহ-সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। মানব ও সমাজ কল্যাণে দীর্ঘদিন নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিল তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেকেহ্নে, ‘শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের পরম শ্রদ্ধেয় সভাপতি, প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজির প্রয়াণের খবরে আমি দুঃখিত। মহান আধ্যাত্মিক মানবের বিদেহী আত্মার প্রতি আমার প্রণাম। বিশ্বব্যাপী তাঁর কোটি কোটি ভক্তের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, আধ্যাত্মিকতার মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণার মাতাজিকে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি দেহ দক্ষিণেশ্বরের সারদা মঠের প্রধান কার্যালয়ে রাখা হয়। সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যান অগণিত ভক্তরা। সারদা মঠ সূত্রে জানানো হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তাঁর ভক্তরা প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। তার পরই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর প্রয়ানে শোকস্তব্ধ রামকৃষ্ণ মিশন ও সারদা মঠ।