এরপর যান্ত্রিক ত্রুটি মুক্তির কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় যান্ত্রিক গোলযোগ মেটানো সম্ভব হয়। শেষমেষ সন্ধ্যা ৭টা ১০মিনিট নাগাদ ট্রেনটি ফের পাটনার উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে, ট্রেনটি দুই ঘণ্টার জন্য দাঁড়িয়ে থাকার কারণে চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সেই কারণে যান্ত্রিক কিছু ত্রুটি দেখা দেওয়ায় প্রযুক্তিগত দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং সমস্যাটির সমাধান করে। এদিন দুপুর ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে ছাড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ দুর্গাপুর স্টেশনে পৌঁছয়। সেকাহেনি ট্রেনে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। জানান গিয়েছে, ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ তারের সঙ্গে ঠিকঠাক সংযোগ হচ্ছে না। সেই কারণে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়।
ট্রেনের বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে ট্রেনের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কাজ করছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই, প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের বেরিয়ে আসতে হয় প্ল্যাটফর্মে। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনে ছাড়ার অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। এক যাত্রীর কথায়, ‘অনেকক্ষণ ধরেই বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। ট্রেনের কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে। তবে আমাদের বেশ মুশিকলের মধ্যে পড়তে হল।’
অবশেষে, সন্ধ্যা সাতটা দশ মিনিট নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। ফের পাটনার উদ্দেশে রওনা দেয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ কাজ করছিল না বলেই ট্রেনটিকে থামাতে হয় বলে সূত্রের খবর। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই ট্রেনটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ট্রেনটি গন্তব্যস্থলে বেশ কিছুটা দেরিতে পৌঁছবে বলেই মনে করা হচ্ছে।