প্রবীর চক্রবর্তী: ২০২১ সালে যা ফল হয়েছিল। ২০২৪ সালেও সেই ফল করতে চাই৷ সবাইকে আমাদের এক থাকতে হবে। INDIA জোট বাংলায় হোক আমরা চেয়েছিলাম। অধীর চৌধুরী তা করতে বলেছেন। অধীর চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার চেয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়া অনেক ভালো। বিজেপির হাত শক্তিশালী করছে কারা দেখুন? এদিন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে কংগ্রেস-বিজেপিকে একযোগে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, Kanchan Mallick campaign for Dev: কাঞ্চনকে পাশে নিয়েই প্রচারে দেব, মহিলারা পালালেন না….
এদিন তিনি আরও বলেন, আর যোগী-শাহদের বিরুদ্ধে কে লড়াই করছে? যোগী আদিত্যনাথ বহরমপুরে সভা করতে এসে অধীর চৌধুরী নিয়ে একটা কথা বলেনি। আসলে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। আমরা দিল্লিতে মানুষের অধিকার চেয়ে আন্দোলন করেছি। একদিনও অধীর চৌধুরী যোগ দেয়নি। এদের কি উচিত ছিল না তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানো? একদিনও দাঁড়ায়নি।
এই মালদা থেকে ভোট কাটাকাটি করে বিজেপির সুবিধা করেছিল। বাংলায় একটা কথা আছে নিজের নাক কেটে, পরের যাত্রা ভঙ্গ করা৷ এই মালতীপুর থেকে দেড় লক্ষ লিড চাই। গতবার কংগ্রেস প্রায় ৬৫ হাজার ভোট পেয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৫৪ হাজার। আর এতে সুবিধা হল বিজেপির। মালদা জেলায় মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার পাশে দাঁড়িয়েছে। এই জেলায় প্রায় ১৬ লক্ষ মেয়েদের কন্যাশ্রী, প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় এর হিসাব দিয়ে গেল। এদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ এদের কাজ বৈষম্য রেখে, শান্তি নষ্ট করা।
তৃণমূলের একাধিক নেতাকে অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করে বছরের পর বছর জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে৷ আর এই অধীর চৌধুরী সারদায় নাম থাকা সত্ত্বেও একটা নোটিস অবধি দেয়নি ইডি, সিবিআই। সেটিংয়ের তত্ত্ব আমরা করছি না৷ মানুষ বুঝতে পারছে। সিপিএম-কংগ্রেস বিজেপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ২০১৯ সালে এই কংগ্রেস সাড়ে ৩ লক্ষ ভোট না কাটলে এই মালদা উত্তর আসন ৮০ হাজার ভোটে জিতত না খগেন মূর্মূ, জিতত মৌসম নূর।
আমাদের দিল্লিতে প্রতিবাদ আরও শক্তিশালী হত৷ আমি এদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করি না। আমি-আমরা অন্য ধাতুতে তৈরি। এবার মালদায় দুটো আসন আপনারা আমাদের দেবেন। আমার কোনও পদ লাগে না৷ আমি সারাক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী। ডায়মন্ড হারবারে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ভোটে লড়ে আমাকে হারান৷ ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি। এরা বাংলাকে না চিনে বাংলাকে গ্যারান্টি দিতে এসেছে।
মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ এরা। বিজেপির এজেন্টগুলোকে ভোট দেবেন না৷ আপনাদের হয়ে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস যারা দিল্লিতে গিয়ে দর দাম করেনি আপনাদের নিয়ে। কংগ্রেস নেতা বলছে বিজেপিকে ভোট দাও৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছে বিজেপিকে ভোট দাও৷ রাহুল গান্ধী পাশে বসিয়ে বলছে বিজেপি বিরোধীতায় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দরকার৷ আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সেদিন তৃণমূলের বাপ বাপান্ত করছে। এবারও যদি ভোট কাটাকাটি হয় তাহলে আখেরে লাভ হবে বিজেপির। তাই এবার তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করুন। আমি কথা দিচ্ছি এরা কি করে ষড়যন্ত্র করেছে তার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসব।
আরও পড়ুন, Garumara Forest: গরুমারা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ দেখে মুগ্ধ ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)