হরিশচন্দ্রপুরের সভার পর মালদা শহরে জনসভাতেও এই স্লোগানের পুনরাবৃত্তি করে মমতা বলেন, ‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই, পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যাই। আগামী দিন আসছে, বিজেপি কাঁদছে।’ তৃণমূলনেত্রীর কথায়, ‘দিল্লিতে বদলান, দিল্লিতে পাল্টান, দিল্লিতে পরিবর্তন দরকার। এই জন্যই বলছি। কারণ, গ্যাসের দাম এক হাজার টাকা। এরপর হবে দু’হাজার টাকা—এটাই মোদীর গ্যারান্টি। সব ওষুধের দাম বেড়েছে। হার্টের ওষুধের দাম বেড়েছে, প্রেশারের ওষুধের দাম বেড়েছে, সুগারের ওষুধের দাম বেড়েছে।’
জরুরি ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই বদলের স্লোগান তিনি তৈরি করেছেন বলে মমতা এদিন বার্তা দিতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘জিনিসের দাম এত বেড়ে গিয়েছে, তার জন্য কি মোদীবাবু একটুও মাথা ঘামাচ্ছেন? ২ কোটি বেকারের চাকরি দেবে বলেছিলেন। কিন্তু একজনকেও চাকরি দেননি। আমরা যাঁদের চাকরি দিচ্ছি, তাঁদের চাকরি খেয়ে নিয়ে বলছে বোমা ফাটাব।’
মমতার এই নয়া স্লোগানকে অবশ্য বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কথা কেউ এখন শুনছে না। দেশের সংবিধান বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে উনি নাকি মন্তব্য করেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সংবিধান বলে কিছু আছে? ওঁর শাসনে চাকরি বিক্রি হচ্ছে। জমির রেকর্ড বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পুরসভা থেকে রেলের জমি, ওয়াকফ সম্পত্তি পর্যন্ত বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।’
বিজেপি নেতৃত্ব মমতার নয়া স্লোগানকে গুরুত্ব না দিতে চাইলেও জেপি নাড্ডা বাংলায় প্রচারে এসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তোলায় গেরুয়া শিবির কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছে। তাই মমতাও এ দিন খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের পিছনে লাগতে গিয়ে ওদের সভাপতির মুখ দিয়েও বেরিয়ে গিয়েছে জয় বাংলা!’ মমতার এই কটাক্ষের মুখে পড়ে শমীকের ব্যাখ্যা, ‘জেপি নাড্ডা এটাই বোঝাতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গকে সুরক্ষিত রাখতে হলে এই রাজ্যকে জয় করতে হবে। তাই উনি জয় বাংলা বলেছেন। এর অর্থ আমরা বাংলাকে জয় করে নেব।’