তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর সভার অনুমতি অনেক জায়গায় দেওয়া হয়নি। তাঁর মন্তব্য, ‘বাগনান, ডোমজুড়ের মতো জায়গাগুলিতে আমি সভা করার অনুমতি পাইনি। পরিবর্তে কিছু জায়গায় আমি চা চক্রে যোগদান করেছি।’
এখনও পর্যন্ত আমি ২৪টা জনসভা করেছি গরমকে উপেক্ষা করে
নওশাদ সিদ্দিকি
আগামীতেও গরমের কাছে হার মেনে প্রচার ময়দান যে ছাড়বেন না, সেই আভাস দিলেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘আগামীতেও আমি দিনে দুটো করে প্রচার সভা করতে চাই।’ তবে দলের কোনও প্রার্থীকে আলাদা করে এগিয়ে রাখলেন না তিনি। নওশাদের কথায়, ‘১৭টি আসনের প্রার্থীই আমার মতে অত্যন্ত ভালো। প্রত্যেকেই জয়ের ক্ষমতা রাখেন। তাই আলাদা করে কারও নাম নেওয়া এক্ষেত্রে ঠিক হবে না।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতার পথে হেঁটেছিল বাম, কংগ্রেস এবং ISF। কিন্তু, ফলাফলে কার্যত ভরাডুবি হয় তাদের। একমাত্র ISF-এর তরফে জয়ী হন নওশাদ। বাম এবং কংগ্রেস ছিল শূন্য।
লোকসভা নির্বাচনের সময়ও বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে বিস্তর আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকিকে। আসন সমঝোতায় যেতে যে তিনি প্রস্তুত, তা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। একাধিক আসনে প্রার্থী দিয়েছে ISF। আর সেই প্রার্থীদের হয়েই প্রচারে দেখা গিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকিকে।
তিনি নিজে একাধিকবার দাবি করেছিলেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চান। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাঁর দলের তরফে মজনু লস্করকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। নওশাদ দাবি করেছিলেন, দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই তিনি লড়াই করছেন না।