মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট,টেস্টের রেজাল্টের পর স্কুলে গার্ডিয়ান কল! ৬৮৪ পেয়ে মাধ্যমিকে দশম হুগলির নীলাঙ্কন – madhyamik result 2024 hooghly district student neelankan mondal stands tenth


একটা সময় পড়াশোনায় কিছুটা অমনোযোগী হয়ে পড়েছিল, এমনকী সেই কারণেই মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাতেও ফলাফল ভালো হয়নি। যার জেরে স্কুল থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মা বাবাকে। তারপরেই সোজা ১৮০ ডিগ্রি মোড়, বেড়ে যায় পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ। তারই ফলস্বরূপ মাধ্যমিকে ৯৭.৭১ শতাংশ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অর্জন করেছে ব্যান্ডেলের এলিট কো এডুকেশন স্কুলের ছাত্র নীলাঙ্কন মণ্ডল।

গবেষণা করার ইচ্ছ নীলাঙ্কনের

পাণ্ডুয়া স্টেশন রোডের বাসিন্দা পার্থসারথি মণ্ডল ও সুজাতা মণ্ডলের ছেলে নীলাঙ্কন। মাধ্যমিকে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। বাবা পার্থসারথী মণ্ডল কালনা শ্রী শ্রী নীগমানন্দ বিদ্যামন্দিরের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক। মা সুজাতা মণ্ডল গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই গল্পের বই পড়া এবং গিটার বাজানোর শখ নীলাঙ্কনের। বাংলা এবং পদার্থ বিজ্ঞান ছাড়া বাকি পাঁচটি বিভাগে পাঁচজন শিক্ষক ছিল তার। বাবা পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ায় বাবার কাছেই সেই বিষয়ে পড়াশোনা করত নীলাঙ্কন। এমন সাফল্যের পর নীলাঙ্কনের ইচ্ছা আগামীদিনে গবেষণা করার।

টেস্টের রেজাল্টই টার্নিং পয়েন্ট

এই বিষয়ে নীলাঙ্কন জানাচ্ছে, টেস্ট পরীক্ষার আগে পর্যন্ত পড়াশোনা নিয়ে অতটা মনোযোগ ছিল তার। যে কারণে টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল খুব একটা ভালও হয়নি। আর সেটাই হয় টার্নিং পয়েন্ট। স্কুল থেকে তাকে ডেকে বোঝানো হয় যে, তাকে নিয়ে স্কুল খুবই আশাবাদী। তারপর থেকেই পড়াশোনায় আরও মনোনিবেশ করে নীলাঙ্কন। সেখান থেকে শুরু হয় রাত জেগে পড়াশোনা। নীলাঙ্কন জানাচ্ছে, সে কখনওই র‍্যাঙ্ক করার লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করেনি। বরং আরও বেশি করে জানার ইচ্ছা থেকেই পড়াশোনা করেছে সে।

Neelankan Mondal

পরিবারের সঙ্গে নিলাঙ্কন মণ্ডল

গিটার বাজাতে ভালোবাসে নীলাঙ্কন

পড়াশোনার পাশাপাশি গিটার বাজানো এবং বিভিন্ন জায়গায় ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাও তার বিশেষ পছন্দের। মহাকাশের অজানা তথ্য তাকে সবসময় আকর্ষিত করে। তাই বড় হয়ে অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করার স্বপ্ন রয়েছে নীলাঙ্কনের।
‘কাউকে ঠকাতে চাই না’, ‘বোকা’ হতে চাওয়া ঋকের মন্ত্রেই বিশ্বাসী মাধ্যমিকের কৃতী পুষ্পিতা

প্রসঙ্গত, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলের চন্দ্রচূড় সেন। পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বরের পরিমাণ ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া জিলা স্কুলের ছাত্র সাম্যপ্রিয় গুরু। সাম্যপ্রিয়র প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। এই বছর মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান দখল করেছে মোট ৩ জন পড়ুয়া। তারা হল, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের উদয়ন প্রসাদ, বীরভূম নিউ ইন্টিগ্রেটেড হাইস্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের নৈঋতরঞ্জন পাল। এই ৩ জনের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *