সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আগে রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিবের অনুমোদন প্রয়োজন থাকে, কিন্তু মুখ্যসচিবের তরফে এখনও কোনও সদুত্তর আসেনি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতে থাকা অবস্থাতেও ‘প্রভাব’ দেখে বিস্মিত আদালত।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখ্যসচিবের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ আদালত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তুলোধনা করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন মন্ত্রী না থাকলেও তার ক্ষমতা বেশ বুঝতে পারছি আদালতে বসে।’ তাঁর কথায়, আমরা স্তম্ভিত হাইকোর্টের নজরদারিতে থাকা মামলায় রাষ্ট্র কীভাবে আদালতকে অগ্রাহ্য করছে তা দেখে।’
সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য মুখ্যসচিবের অনুমতি প্রয়োজন। কলকাতা হাইকোর্ট এ ব্যাপারে নির্দেশ দিলেও মুখ্যসচিব এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ দেননি বলে খবর। মুখ্য সচিব আরও সাত সপ্তাহ সময় চেয়েছেন বলে এদিন রাজ্য জানায় আদালতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, ‘খুব খারাপ। এটা ইচ্ছাকৃত দেরি। এইসব স্ট্র্যাটেজি নিয়ে লাভ হবে না। আদালত অবমাননার কৌশল নিচ্ছেন নাকি?’ তিনি আরও জানান, আমাদের নির্দেশের অবমাননা এটা। এই মামলার দ্রুত হওয়ার গুরুত্ব বুঝুন। রাজ্যের এজিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি এজি হয়ে যদি না বোঝেন এবং আদালতের কথা না শোনেন তাহলে বিচারব্যবস্থার অপমান। সিরিয়াস ম্যটার। এটা কোনও সাধারণ ল্যাথার্জি হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো। এখানে এভাবে স্টান্ট চলে না। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় বিশ্বাস থাকে।’
সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য মুখ্যসচিবের অনুমতি প্রয়োজন। কলকাতা হাইকোর্ট এ ব্যাপারে নির্দেশ দিলেও মুখ্যসচিব এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ দেননি বলে খবর। মুখ্য সচিব আরও সাত সপ্তাহ সময় চেয়েছেন বলে এদিন রাজ্য জানায় আদালতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, ‘খুব খারাপ। এটা ইচ্ছাকৃত দেরি। এইসব স্ট্র্যাটেজি নিয়ে লাভ হবে না। আদালত অবমাননার কৌশল নিচ্ছেন নাকি?’ তিনি আরও জানান, আমাদের নির্দেশের অবমাননা এটা। এই মামলার দ্রুত হওয়ার গুরুত্ব বুঝুন। রাজ্যের এজিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি এজি হয়ে যদি না বোঝেন এবং আদালতের কথা না শোনেন তাহলে বিচারব্যবস্থার অপমান। সিরিয়াস ম্যটার। এটা কোনও সাধারণ ল্যাথার্জি হতে পারে না। এটা গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো। এখানে এভাবে স্টান্ট চলে না। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় বিশ্বাস থাকে।’
প্রসঙ্গত, গত ২০২২ সালে অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন পার্থ। তবে, মুখ্যসচিব এখনও পর্যন্ত চার্জ ফ্রেম করার জন্য অনুমতি না দেওয়ায় বিচারপতি বলেন, ‘ বিচারের শেষ দিনেও যদি রাজ্য অনুমতি না দেয় তাহলেও অবাক হব না। এসব স্ট্র্যটেজি খুব ভালো বুঝি। আপনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) প্রভাবশালী ছিলেন। এতটাই প্রভাবশালী বিচারপ্রক্রিয়ার উপরেও প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এটা প্রতিষ্ঠানের ষড়যন্ত্র। মুখ্যসচিবের কলম উঠছে না? ভাবা যায় এমন অবস্থা! আমরা বেশ বুঝতে পারছি এর কারণ। আপনার যখন গোপন বন্ধু আছেন তারাই আপনার জামিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।’ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার কথা জানানো হয় রাজ্যের এজির কাছে। আগামীকাল মামলার শুনানি শোনা হবে বলে জানানো হয়। সেখানেই এই ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।