ভোটের মুখে ফের একবার রাজ্যে টাকা উদ্ধারের ঘটনা। এবার BJP কর্মীর গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে ফ্লায়িং স্কোয়াড টিম। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁচলের পাহারপুরে বাইপাস সড়কের ঘটনা। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব চাঁচল বিধানসভায় বুথ খরচের টাকা দিয়েছিল বলে দাবি করেছেন টাকা সমতে ধরা পড়া BJP নেতা নিজেই।ভোট যত এগিয়ে আসছে রাজ্য়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তত বেশি আঁটসাঁট করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই মালদায় নাকা চেকিংয়ে এক BJP নেতার গাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মালদায় ফের টাকা উদ্ধারের ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এদিন লাখ লাখ টাকা নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন BJP নেতা তিলক রাম? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তিনি অবশ্য ক্যামেরায় দাবি করেছেন, ‘বুথ খরচ হিসেবে কিছু টাকা নিয়ে আসছিলাম। জেলা পার্টি অফিস থেকে টাকা দিল। টাকা নিয়ে যাওয়ার নিয়ম প্রসঙ্গে আমার কাছে কোনও তথ্য ছিল না।’
এদিকে এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আফসার আলী বলেন, ‘এটা BJP-র সংস্কৃতি। কারণ কিছুদিন আগে আমাদের ১০০ দিনের ন্যায্য পাওনা ওরা আটকে রেখেছিল। ওরা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কাজ করেনি। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রেখেছে। ভাঁওতাবাজি করেছে। তাই মানুষ আর তাদের বিশ্বাস করছে না। এই অবস্থায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। মানুষ এর বিচার করবে।’
এদিকে এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আফসার আলী বলেন, ‘এটা BJP-র সংস্কৃতি। কারণ কিছুদিন আগে আমাদের ১০০ দিনের ন্যায্য পাওনা ওরা আটকে রেখেছিল। ওরা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কাজ করেনি। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রেখেছে। ভাঁওতাবাজি করেছে। তাই মানুষ আর তাদের বিশ্বাস করছে না। এই অবস্থায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। মানুষ এর বিচার করবে।’
এদিকে কয়েক দিন আগেই মালদায় এক বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করে। মালদা শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের কাছাকাছি নাকা চেকিংয়ের সময় এই অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার পাঁচশো টাকা। জানা গিয়েছে, ওই BJP নেতার নাম শান্তনু ঘোষ। তিনি BJP-ক দক্ষিণ মালদা সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তাঁর গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।
এই মুহূর্তে লাগু রয়েছে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি। আর সেই কারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থের বেশি টাকা নিয়ে ঘোরার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদিও ওই নেতা দাবি করেছিলেন, ব্যবসার জন্য তিনি ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে যাচ্ছিলেন।