ভৌমী আরও জানায়, তার পড়াশোনার জন্য অনেক সময়ই স্কুল থেকে ছুটি নিয়েছেন তার মা। এমনকী কখনও কখনও রাত জেগে পড়াশোনা করতে হলে পাশে পেয়েছে বাবাকে। ভৌমী মনে করে, বই পড়ার কোনও বিকল্প নেই। তাই আগামীদিন যারা মাধ্যমিক দেবে, তাদেরও বেশি করে বই পড়ার পরামর্শই দিচ্ছে সে।
এই বিষয়ে ভৌমীর মা হ্যাপি মণ্ডল সরকার জানান, তিনি পেশায় অঙ্কের পার্শ্ব শিক্ষিকা। মেয়ে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকবে সেটা আশা ছিলই। আর সেই আশাই এবার পূরণ হল। বরাবরই পড়াশোনায় মেধাবী ভৌমী। পাশাপাশি মেয়ের ফলাফলে খুশী ভৌমীর বাবা সৌমেন্দ্র সরকারও। তিনি বলেন, ‘মেয়ের ফলাফল যথেষ্ট ভালো হয়েছে। তবে আরও একটু ভালো আশা করেছিলাম। মেয়েকে পড়াশোনার জন্য কোনও দিনই চাপ দিতে হত না। সে নিজেই সময় মতোই পড়ত।’ নিজের সাধ্যমতো মেয়েকে সবরকমভাবেই সহযোগিতা করেছেন বলে জানান সৌমেন্দ্র। এদিকে মেধাবী এই ছাত্রীর সাফল্যে খুশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
এই বছর মাধ্য়মিক পরীক্ষায় প্রথম থেকে দশমের মধ্যে রয়েছে মোট ৫৭ জন ছাত্রছাত্রী। পরীক্ষায় ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৪১১ জন পরীক্ষার্থী। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, এবারের মাধ্যমিকে পাশের হার সবচেয়ে বেশি উত্তরবঙ্গের কালিম্পং জেলায়। পাশাপাশি পাশের হারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা।