‘বিভাজন সম্ভব’, ‘যোগ্য’-দের পাশে থাকার বার্তা এবার SSC-র – school service commission chairman says they can provide data which may segregate deserving candidate who lost their jobs


SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। ২০১৬ সালের প্যানেলের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি এবং ডি-এর যাবতীয় নিয়োগ বাতিল করা হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করেছিলেন, প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মতো অযোগ্য তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে বাকিরা যে ‘যোগ্য’, সেই কথা অবশ্য জোর দিয়ে বলেননি তিনি।সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, ‘আপাতত যে তথ্য রয়েছে তা মোতাবেক এরা যোগ্য। আগামীতে যে তথ্য আসবে সেই মোতাবেক জানাব। এর বাইরে বাকি প্রায় ১৯ হাজারকে এভাবে সার্টিফায়েড করা সম্ভব না।’

যদিও শুক্রবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন SSC-র চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘যোগ্য যাঁরা প্রার্থী তাঁদের পাশে অবশ্যই কমিশন থাকবে। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন। সর্বোচ্চ আদালতে জানাব যে এই তালিকা থেকে যোগ্য অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। আমরা যেমন অযোগ্যদের একটা তালিকা আদালতে দিয়েছিলাম স্পেশাল বেঞ্চের কাছে তেমনই বিতর্কিতদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টে দেব। যাঁরা দোষী নন, তাঁদের পাশে দাঁড়াব। এই বাছাই সম্ভব।’

আপাতত এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে যোগ্য এবং অযোগ্য এই বিভাজন স্পষ্ট করার ইঙ্গিত শোনা গিয়েছে এসএসসি চেয়ারম্যানের কণ্ঠে। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনই রাজ্যে একটি জনসভা থেকে উল্লেখযোগ্য বার্তা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

তিনি বলেছিলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে যাঁরা পীড়িত তাঁদের জীবন দুর্বিসহ হয়েছে। যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের মধ্যে কিছু সৎ রয়েছেন। আর এই নির্দোষদের জন্য দলীয় তরফে আমরা ব্যবস্থা করছি। রাজ্য সভাপতিকে বলেছি কী ভাবে সৎদের সাহায্য করা যায় সেই বিষয়টি দেখতে। আমি বলেছি, প্রদেশ স্তরে একটি লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলার জন্য। সেখানে যাঁরা সৎ এবং সমস্যায় পড়েছেন তাঁদের ন্যায় পেতে সাহায্য করা হবে।’

‘হাইকোর্টের রায়ে এখনই স্থগিতাদেশ নয়…’, পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির, SSC মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

মোদীর এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি গিয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য, SSC। আগামী সোমবার মামলাটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, এখন সব নজর সেই দিকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *