অভিষেক বলেন, ‘এতদিন তো খুব সন্দেশখালি, সন্দেশখালি বলছিল। আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছিল। স্লোগান বানিয়ে দিয়েছিল, সন্দেশখালি, তৃণমূলের এবার চেয়ার খালি। সেই সন্দেশখালি আসল তথ্য বেরিয়ে গিয়েছে।’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেকের পালটা স্লোগান, ‘ডাক দিয়েছে সন্দেশখালি, বিজেপি দলটাই জালি।’
এদিনের মঞ্চ থেকে বিশেষ করে গতবারের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে আসতে কেন্দ্রকে ক’টা চিঠি লিখেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়?’…তথ্য পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে এঁরা লড়াই করার সাহস দেখাক। গত দশ বছরে নরেন্দ্র মোদী যা করেছে, আর আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী করেছে ? আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, ‘১০ গোল দিয়ে মাঠের বাইরে যদি না বার করতে পারি, আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়।’
সোমবার জোড়া সভার কর্মসূচি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রথম জনসভা করেনবোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে। বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে সভা করেন তিনি। সেই সভা থেকেও বিজেপিকে তুলোধোনা করতে দেখা যায় অভিষেককে।
এই সভা থেকে অভিষেক দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিজেপি ভোট চাইতে আসলে জনগণকে চারটি প্রশ্ন করেন। আবাস যোজনায় কত টাকা, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করছেন না কেন কেন্দ্রীয় সরকার? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে বিজেপির অবস্থান কী? কেন ভোটের টিকিট পেলেন যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ সিংহের ছেলে? রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলে সেই সম্বন্ধে বিজেপির অবস্থা কী? দোসরহকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিষেক।