সন্দেশখালি নিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘সন্দেশখালিতে ধর্মের ভিত্তিতে মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় দোষীদের ধরেন না। হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে।’ দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘শাহজাহানকে জেলে দেওয়া উচিত কি উচিত না। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নাকের নীচে মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় জড়িতদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রাম মন্দির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল এবং কংগ্রেস রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্ত, ওঁরা জাননি। ভোটব্যাঙ্কের ভয়ে যাননি।’
বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে একটি নির্বাচনী সভায় হাজির ছিলেন অমিত শাহ। সেখানেই তাঁর বক্তব্যে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে। বাংলায় বিজেপিকে এর আগে ৩৫টি আসন জেতার ব্যাপারে টার্গেট দিয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। পরবর্তীকালে বাংলায় সভা করতে এসে এর আগে ৩০টির বেশি আসন জেতার কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। দুর্গাপুরের সভায় তিনি বলেন, ‘আপনারা ১৮টি আসন দিয়েছেনিলেন, মোদীজি দেশকে সুরক্ষিত রেখেছেন। এবার আমরা ৩০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। দুর্গাপুরবাসী বলুন, ৩০টি আসন আমাদের জেতাবেন কিনা? জোরে বলুন, জেতাবেন? দিলীপ দা’কে সাংসদ বানাবেন?’
গত শনিবার সন্দেশখালির ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো , যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। যদিও, বিজেপির তরফে এটাকে’ডিপ ফেক’ ভিডিয়ো বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই ভিডিয়োতে (যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধরকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালি নিয়ে যা ঘটেছে, তা পুরোটাই সাজানো। অর্থের বিনিময়ে মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।