বরুণ সেনগুপ্ত: পরীক্ষা শেষের এক মাসের মাথায় ফলাফল প্রকাশ হল দিল্লি বোর্ডের আইসিএসই পরীক্ষার। নজরকাড়া সাফল্য সোদপুরের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের। সম্ভাব্য সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী এবং রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীরা এই স্কুলেরই পড়ুয়া।
অনুষ্কা ঘোষ ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী অঞ্চলের বাসিন্দা সম্ভবত রাজ্যের প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮, শতাংশের হিসেবে ৯৯.৬ শতাংশ। অনুষ্কা জানায়, সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। আজকের এই ফলাফল আশানুরূপ ছিল বলেই অনুষ্কার মা জানান। পাশাপাশি, মেঘাত্তায়া সাহা যার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৪ শতাংশ। সে সম্ভবত রাজ্যের তৃতীয় স্থানাধিকারী। এদের পাশাপাশি আরও কয়েকজন মেধাতালিকায় জায়গা পাবে বলে আশাবাদী স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনীক দাস ৯৯ শতাংশ, সুরঙ্গনা সরকার ৯৮.৮ শতাংশ, উদিত শর্মা ৯৮.৬ শতাংশ। এদের সকলের এই প্রশংসনীয় ফলাফলের পিছনে তাদের স্কুলের যে বড় ভূমিকা রয়েছে তা তাদের সকলের মন্তব্যের মধ্য দিয়েই পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।
এদিন ফল ঘোষণার পরে সকল কৃতী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে খুশিতে মেতে ওঠে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা ও সাধুবাদ জানানো হয়। এই প্রসঙ্গে সোদপুর সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের প্রিন্সিপাল লিপিকা ঘোষ ও এই স্কুলের অন্যতম কর্ণধার দ্যুতিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সকল কৃতী ছাত্রছাত্রীদের অফুরন্ত ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে দশম শ্রেণির আইসিএসসি পরীক্ষায় সাড়া-জাগানো ফলাফল করে উত্তীর্ণ হল ওদলাবাড়ি ডন বসকো স্কুলের ছাত্র স্বপ্নজিত বিশ্বাস। মালবাজারে বাড়ি স্বপজিতের। পরীক্ষায় ৯৯.৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে স্বপ্নজিত। খুশির হাওয়া মালবাজার শহরে।
ডন বসকো স্কুলের প্রিন্সিপাল ফাদার টিজো থমাসের দাবি অনুযায়ী, স্বপ্নজিত রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম হওয়ার পাশাপাশি সারা দেশে সম্ভাব্য তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। স্বপ্নজিতের এহেন সাফল্যে তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ফাদার খুবই খুশি। খুশির হাওয়া মালবাজার শহরেও।
মালবাজার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি স্বপ্নজিতের। বাবা সুব্রত বিশ্বাস ও মা জয়শ্রী বিশ্বাসের একমাত্র সন্তান স্বপ্নজিত। সেই কিন্ডারগার্টেন থেকে আগাগোড়া প্রথম হয়ে এসেছে সে। এদিন পরীক্ষার রেজাল্ট জানার পরে স্বপ্নজিত বলে, “আমার এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব আমার মা-বাবা এবং অবশ্যই আমার স্কুলের শিক্ষকের।” বাড়িতে বাবা- মা তাকে পড়াতেন। স্বপ্নজিত বলে, “টেক্সট বুকগুলো ভালো করে পড়েছি। একই সঙ্গে ক্লাসের পড়া নিয়মিত ফলো করার পাশাপাশি বোর্ডের গত বছরগুলির প্রশ্নপত্রগুলি নাগাড়ে রপ্ত করেছি। পড়াশোনার বাইরে ক্রিকেটে আগ্রহ রয়েছে। ভবিষতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় স্বপ্নজিত।
আরও পড়ুন: মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই ডুবল পথঘাট! যানজট, ভোগান্তি সত্ত্বেও দাবদাহমুক্তিতে খুশি সকলেই…
অন্য দিকে, স্বপ্নজিতের রেজাল্ট দেখে অত্যন্ত খুশি ডন বসকো স্কুলের প্রিন্সিপাল ফাদার টিজো থমাস। এদিন ফাদার টিজো থমাস বলেন, স্বপ্নজিত যে ভালো ফল করবে তা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু তাই বলে রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম এবং সারাদেশে সম্ভাব্য তৃতীয় হবে এটা ভাবিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ তার এই সাফল্যে অসম্ভব খুশি। স্বপ্নজিতের পাশাপাশি তার স্কুলের ফলাফলও এবারে নজরকাড়া। মোট ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। ৯০%-এর উপর নম্বর পেয়েছে ১১ জন। ৮০%-এর উপর নম্বর পেয়েছে ৩০ জন, ৭০%-এর উপর নম্বর পেয়েছে ২৮ জন এবং ৬%-এর উপর নম্বর পেয়েছে ২৯ জন। এদিন ওদলাবাড়ি ডন বস্কো স্কুলে খুশির হাওয়া।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)