অনুষ্ঠানে যোগ দেন বহু প্রাক্তন ছাত্র, শিক্ষক ও স্থানীয়রা। স্বভাবতই খুশি গোপন করেননি উদ্যোক্তাদের তরফে শম্ভুনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রীষ্মে রক্তের ঘাটতি পূরণে এ দিন ১০০ জনের রক্তদানের লক্ষ্য নেওয়া হলেও অত্যধিক গরমের কারণে শেষ পর্যন্ত ৮২ জন রক্ত দিয়েছেন।
এখানে রক্তদান শিবিরে ছিল না কোনও উপহারের আকর্ষণ। স্কুলের প্রতি, স্কুলের ঐতিহ্য ও সম্মান, শ্রদ্ধা ভালবাসা থেকেই সকলে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রক্তদান শিবিরকে সফল করতে।
এমনিতেই ভোটের বাজার। নেতা নেত্রী, সেলিব্রিটি, ভিআইপিরা সবাই ব্যস্ত ভোটের প্রচারে। তাই ডাক পড়েছে স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে রূপান্তরিত তরুণী সায়ন্তিকার। স্কুলের ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেননি সায়ন্তিকা। এ দিনের রক্তদান শিবিরের ফিতে কেটে উদ্বোধন করলেন বছর বাইশের সায়ন্তিকা বাগ। তাঁর পাশে থেকে তাঁকে উৎসাহিত করলেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও প্রাক্তন শিক্ষক অসীমরঞ্জন ভট্টাচার্য।
সায়ন্তিকা জানান, তিনি এই স্কুল থেকে গত ২০১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭। এরপরই তিনি নিজেকে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে বছর তিনেকের মধ্যে তিনি নারী হয়েছেন। স্কুলে পড়ার সময় নাম ছিল সায়ক বাগ। সায়ন্তিকা বলেন, ‘ছোট থেকেই সহপাঠী ছেলেদের সঙ্গে সহজ হতে পারতাম না। ক্রমে বড় হলে নিজের মধ্যে ফুটে ওঠা নারীত্বের অনুভব পেতে থাকি। তখনই সিদ্ধান্ত নিই নিজেকে পূর্ণ নারী হিসেবে গড়ে তোলার।’
এখন একটি বাণিজ্যিক সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছেন সায়ন্তিকা। বাড়িতে নিজের বাবা মায়ের দায়িত্বও তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। ভবিষ্যতে উপযুক্ত সঙ্গী পেলে বিয়ে করে সংসারী হওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর। তবে এখনই কোনও সম্পর্কে রয়েছেন কি না তা জানাতে গিয়ে লজ্জায় একগাল হেসেই ফেলেন সায়ন্তিকা।