জানা গিয়েছে, তাদের বাড়ির লাগোয়া একটি পুকুর ছিল। সেখানে রাখা ছিল ছাইয়ের স্তূপ। আর সেখানে খেলতে গিয়েই কোনওভাবে ওই বোমায় পা লাগে এবং তিন কিশোর গুরুতরভাবে জখম হয়। তাদের প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাজ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। পরে বাকি আহতদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
তিনি সমস্ত ঘটনাটা খতিয়ে দেখছেন। পুরো এলাকাটি কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে। কী ভাবে ওই এলাকায় বোমা এল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না পুলিশ। তবে জোরাল কিছুর বিস্ফোরণের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
এদিকে এদিনই পাণ্ডুয়ায় সভা করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সভাস্থল থেকে খানিক দূরে এই ঘটনা পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। আরও আঁটসাঁট করা হচ্ছে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোথা থেকে এল ওই বোমা? কোন উদ্দেশে তা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলি উঠছে।
কান্নায় ভেঙে পড়েছে ওই মৃত কিশোরের পরিবার। যে বা যারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে প্রত্যেকের ফাঁসি চাইছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে একটি নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘আমিও টার্গেট। অভিষেকও টার্গেট। জীবন নিয়ে নিতে পারে।’