Lok Sabha Election 2024,পানীয় জলের সঙ্কট, প্রচারে বেরিয়ে তর্কে জড়ালেন MLA – lok sabha election 2024 jayanagar tmc candidate pratima mandal and mla biswanath das face villager protest campaigning


এই সময়, জয়নগর: চড়া রোদে রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে বিদায়ী সাংসদ তথা জয়নগর কেন্দ্রের এ বারের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। বিক্ষোভের মুখে পড়েন জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসও। গ্রামবাসীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক। গ্রামবাসীরা প্রার্থীর কাছে জলের সঙ্কট ও রাস্তার আলো নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন।তাতেই স্থানীয়দের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিশ্বনাথ। পুলিশ থাকায় অবশ্য বাড়াবাড়ি কিছু হয়নি। তৃণমূলের প্রার্থী প্রতিমা অবশ্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। বিধায়কের আচরণের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। রবিবার প্রতিমা মণ্ডল জয়নগরের হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারে। স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস-সহ দলের কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন।

প্রতিমাকে সামনে পেয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, তাঁরা পানীয় জল পাচ্ছেন না। সেই সঙ্গে গ্রামের রাস্তায় আলোও তেমন থাকে না। তা নিয়েই এ দিন গোল বাধে। প্রবল গরমে পানীয় জলের সঙ্কটে এমনিতেই জেরবার অবস্থা হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারপাড়ার বাসিন্দাদের। সেই পাড়াতেই এ দিন পায়ে হেঁটে প্রচারে বেরিয়েছিলেন প্রতিমা।

তখনই পানীয় জলের সমস্যা ও রাস্তায় আলো লাগানোর বিষয়টি তুলে ধরেন হালদারপাড়ার লোকজন। বিষয়টি বুঝে দেখার জন্য প্রার্থীকে এলাকা ঘুরে দেখার অনুরোধও করা হয়। এতেই গ্রামবাসীদের উপর বেজায় চটে যান স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিধায়কের আচরণে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। রীতিমতো হাতাহাতির উপক্রম হয়।

তবে সঙ্গে পুলিশ থাকায় বিষয়টি বাড়াবাড়ির আকার নেয়নি। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের শান্ত করেন প্রতিমাই এবং ভোটপ্রচারে এগিয়ে যান।
এ দিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের একজন প্রভাতকুমার হালদার বলেন, ‘সাংসদ দশ বছর এলাকায় কোনও কাজ করেননি। ভোটের আগে এলাকায় এসেছেন। তাই দেখা পেলাম। সামনে পেয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলাম। তাতেই বিধায়ক আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করলেন।’ যদিও পরে প্রতিমা মণ্ডল এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

পরে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি হরিনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের দোরে দোরে গিয়েছি। স্থানীয়রা পানীয় জলের সমস্যার কথা বলেছেন। এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে সর্বত্র পানীয় জলের অভাব। তারমধ্যেই অনেকে আবার সেই পানীয় জল কৃষিকার্য-সহ নানা কাজে অপচয়ও করছেন।’ প্রতিমার কথায়, ‘যেহেতু এখন নির্বাচন আচরণবিধি রয়েছে, তাই এখনই কিছু করা সম্ভব নয়। ভোটের পর প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করব।’ তবে বিধায়কের আচরণের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান প্রতিমা।

Trinamool Congress : গরমের মধ্যে তৃণমূলের প্রচারে হাঁটানো হলো স্কুলের খুদেদের

জয়নগরের তৃণমূল বিধায়কের আচরণ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, ‘তৃণমূল মানেই চোর। সব কিছু থেকেই কাটমানি খেয়েছে। এই গরমে মানুষ পানীয় জল পাচ্ছে না। যাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছে সেই সাংসদ ও বিধায়ককে যদি সমস্যার কথা না বলে তো কাকে বলবে?’

জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাথ হালদার বলেন, ‘তৃণমূলের দু’বারের সাংসদ কিংবা দু’বারের বিধায়ক মানুষের জন্য কাজের কাজ কিছুই করেননি। তাই মানুষের এত দুর্ভোগ। মানুষ প্রয়োজনের কথা বলাতেই বিধায়ক গ্রামবাসীদের উপর চোটপাট করেছে।’ এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *