Arijit Singh,স্ত্রীকে স্কুটিতে করে বুথে, সাধারণের মাঝেই ভোটদান ‘পাড়ার ছেলে’ অরিজিৎ-এর, দেখুন ভিডিয়ো – arijit singh singer cast his vote at murshidabad lok sabha election


আকাশি রঙের টি শার্ট, গাঢ় নীল রঙের ট্রাক সুট প্যান্ট। স্ত্রীর হাত ধরে নিয়ে এলেন স্কুটির সামনে। চারিদিকে ক্যামেরার ঝলকানি। পাশ কাটিয়ে স্কুটিতে করে গেলেন ভোট কেন্দ্রে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়েই সময় আসতে ঢুকলেন বুথে। নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন। হাসিমুখে বেরিয়ে গেলেন ভোটকেন্দ্র থেকে। কী ভাবছেন, কাঁর কথা হচ্ছে? তিনি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গায়ক অরিজিৎ সিং।সাধারণ জীবনযাপনেই তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত অনুরাগীরা। ভোটের দিনেও সেটার অন্যথা হল না। স্টিল রঙের স্কুটি তাঁকে মাঝেমধ্যেই পাড়ায় দেখা যায়। কখনও বাজার করতে, কখনও কোনও কাজে যেতে। এদিনও সেটার অন্যথা হল না। সকাল সকাল নিজের স্ত্রীকে নিয়েই ভোট কেন্দ্রে যান। ভোটদান করেন সকলের সঙ্গেই। তবে, তিনি যে অরিজিৎ সিং, সংবাদ সংগ্রহকারী, টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ম্যানদের ভিড় ছিল তাঁকে কেন্দ্র করে।

এদিন, প্রীতম সিং জি এস এফ পি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ নম্বর বুথে স্ত্রীকে সঙ্গে করে এসে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলে বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিং। যদিও, আলাদা করে সাংবাদিকদের সামনে তিনি কিছু বলতে চাননি। ভোটকেন্দ্রের ভেতর হুমড়ি খেয়ে পড়ে চিত্রগ্রাহকরা তাঁর ছবি তুলতে ব্যস্ত। এর মাঝেই কয়েকজন আবদার করেন, ভোটদান করে আঙুলে কালী লাগা অবস্থায় একটা পোজ দিতে, হাসিমুখে সেই আবদার মেটান তিনি।

দেশ জুড়ে তাঁর কোটি কোটি অনুরাগী। তাঁর গান শোনার জন্য পাগলের মতো অপেক্ষা করে থাকেন অনুরাগীরা। গানের অনুষ্ঠানের একটি টিকিট আদায় করতে কী না করেন ভক্তরা। তবে, সেই প্রসিদ্ধ গায়ক কিন্তু জীবন-যাপন করেন আমার-আপনার মতোই। নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তিনি। আজ, বাংলায় তৃতীয় দফার নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নিজের ভোটাধিকার প্রয়গ করতে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে একঝলক তাঁকে বাড়ির বাইরে দেখা যায়।

Arijit Singh News : ‘ওর সঙ্গে তো পুরনো সম্পর্ক’, মুর্শিদাবাদ জয়ে অরিজিৎ সিংয়ের বাড়ি টার্গেট প্রার্থীদের
কাজের সূত্রে মুম্বইয়ের অন্ধেরিতে থাকতে হয় তাঁকে। বছরের অনেকটা সময় সেখানেই কাটাতে হয় তাঁকে। তবে, মাঝেমধ্যেই মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে তাঁর নিজের স্কুল জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরের সভাপতি হয়েছেন তিনি। আবার এলাকাতেই তাঁর পারিবারিক ‘হেঁশেল’ নাম একটি হোটেল চালু হয়েছে। তবে সেলেব তকমা গা থেকে মুছে ফেলে তাঁর এই জীবনযাত্রাই মনে হয় তাঁকে উন্নতির এতটা শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *