Heavy Rain Fall,সমুদ্রে যেতে বারণ মৎস্যজীবীদের, মজুদ রয়েছে শুকনো খাবার-ত্রিপলও – sundarbans police warn fishermen not to venture into sea due to heavy rainfall


এই সময়, কাকদ্বীপ: তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় সবাই। কিন্তু সুন্দরবনের মানুষ আতঙ্কে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। বাজ পড়তে শুরু করে। বিক্ষিপ্ত ভাবে মাঝারি বৃষ্টি চলে রাতে। হাওয়া অফিসের ইঙ্গিত মিলতেই সতর্ক প্রশাসন।রবিবার রাত থেকে জেলার আবহাওয়ায় বদলাতে শুরু করে। দমকা বাতাস বইছে। মাঝে মাঝে আকাশ মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদও নিম্নমুখী। সোমবার থেকে টানা কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলা জুড়ে বৃষ্টির পাশাপাশি ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। উত্তাল হবে নদী ও সমুদ্র। সুন্দরবন এলাকায় দুর্যোগের মাত্রা বেশি হতে পারে।

এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সুন্দরবন পুলিশ জেলার নামখানা এবং ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানা-সহ একাধিক থানার পুলিশের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে দিনভর মাইকে প্রচার চালাতে দেখা যায়। নিষেধাজ্ঞার কারণে সামুদ্রিক মৎস্য শিকার বন্ধ থাকলেও স্থানীয় নদী, খাঁড়িতে মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত সব মৎস্যজীবীকে বারণ করা হয়েছে।

সুন্দরবনে টর্নেডো সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। টানা গরমের হাত থেকে মুক্তি মিললেও দুর্যোগের আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের। সকাল থেকে নদী এবং সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। বকখালি এবং ফ্রেজারগঞ্জে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার ওসির নেতৃত্বে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার চালানো হয়।

অন্য দিকে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘি এলাকার বেহাল নদী এবং সমুদ্র বাঁধের উপর নজর রেখেছে সেচ দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা। সুন্দরবন সামুদ্রিক শ্রমজীবী মৎস্য ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পাওয়ার পর উপকূলের সমস্ত মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে উপকূলের ঘাটগুলোতে সমস্ত ছোট-বড় ট্রলার শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়েছে।’ দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরবন এলাকার ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে শুকনো খাবার এবং ত্রিপল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *