Pandua Blast,পাণ্ডুয়া বিস্ফোরণকাণ্ডে নয়া মোড়! ‘বৌমা জড়িত নয়’, দাবি ধৃতের প্রাক্তন শাশুড়ির – pandua blast update arrested woman claims she is innocent


‘নিজের সন্তানকে কোন মা মারতে চায়?’ আদালতে যাওয়ার পথে কাঁদতে কাঁদতে এমনটাই বললেন পাণ্ডুয়ায় বোম বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত রীতা মণ্ডল। গতকাল সাত সকালে পাণ্ডুয়ার তিন্না নেতাজি পল্লীতে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় রাজ বিশ্বাস নামে বছর বারোর এক কিশোরের। গুরুতর জখম হয় রূপম বল্লভ ও সৌরভ চৌধুরী নামে আরও দুই কিশোর। রাজের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারী পাল্লা রোডে। সে স্কুলের ছুটিতে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তিনজন মিলেই খেলা করছিল। সেই সময় একটি বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়েই ঘটে যায় বিস্ফোরণ।বিস্ফোরণের তীব্রতায় এক কিশোদের হাত উড়ে যায়। পেট পায়ে ঢুকে যায় বোমার স্প্লিন্টার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক কিশোরের। বাকি দু’জন পাণ্ডুয়ার হাসপাতাল হয়ে বর্তমানে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক অভিযোগ, পালটা অভিযোগে সরগরম পাণ্ডুয়া। ভোটের আগে কে কী কারণে আপাত শান্ত ওই এলাকায় বোমা রাখল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

প্রাক্তন স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বোম স্কোয়ার্ড এনে তদন্তের দাবি তুলে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ঠিক তখনই হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জানিয়ে দেয় বোমা ফেটে আহত রূপম বল্লভের মা রীতা এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। রীতার প্রাক্তন স্বামী সুকদেব বল্লভ অভিযোগ করেছেন যে তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলতেই বোমা রাখা হয়েছিল। সুকদেবের সঙ্গে রীতার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর মাস পাঁচেক আগে দেবা সরকার নামে এলাকারই এক যুবককে বিয়ে করেন রীতা। বর্তমানে তাঁরা দু’জনে বিহারে থাকেন। সেখানে রীতার স্বামী হাতুড়ে চিকিৎসকের কাজ করেন। রীতা বিয়ের পর দু একবার পাণ্ডুয়া এসেছেন। তাঁকে ট্রেনে তুলে দেন তাঁর স্বামী।

দিন তিনেক আগে দাঁতের চিকিৎসার জন্য আবারও গ্রামের বাড়িতে আসেন রীতা। প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে না গেলেও নিজের সন্তানকে ডেকে কথা বলতেন বলে জানিয়েছে রীতার প্রতিবেশীরা। স্বামীর ঘর ছেড়ে নতুন সংসার পাতলেও ছেলের প্রতি টান ছিল তাঁর। সেই ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার চুঁচুড়া হাসপাতালে ছেলেকে দেখতে যেতেই তাঁকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার করে মগড়া থানায় রাখা হয়। মঙ্গলবার আদালতে পেশ করার সময় কেঁদে ফেলেন রীতি। তাঁর দাবি,তিনি বোম রাখেননি। তিনি কোনও অন্যায় করেননি। তাঁকে ফাঁসিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিজের ছেলেকে কেউ মারার চেষ্টা করতে পারেন না বলেও দাবি তাঁর।

অন্য কথা বলছেন রীতার প্রাক্তন শাশুড়ি

এই বিষয়ে রীতার প্রাক্তন শাশুড়ি ঊষা বল্লভ বলেন, ‘বৌমা আট বছর আমাদের বাড়ি থাকে না। ও বাপের বাড়ি থাকে। ও কেন ছেলেকে খুন করতে যাবে। নাতির হাত উড়ে গেছে দেখে ছেলের মাথার ঠিক নেই, তাই অভিযোগ করেছে। বৌমা এতে জরিত নেই।’ কলোনীর বাসিন্দারাও মনে করছেন ওই রকম মারাত্মক বোমা রাখা সাধারণ মানুষের কাজ নয়। পারিবারিক গণ্ডগোল নয়, এর পিছনে অন্য কোনও কারন আছে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দু’জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ হয়েছে। একজন গ্রেফতার হয়েছে। অপর জনের খোঁজ চলছে। বোমা কে রাখল, উদ্দেশ্য কী ছিল, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *