এদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাবো। তিনি আগাগোড়াই এই যোগ্য চাকরি হারাদের পাশে ছিলেন।’ তবে ভোটের সঙ্গে এই রায়ের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই তিনি জানান। ব্রাত্য বসু বলেন, ‘যে যোগ্য শিক্ষকরা এতদিন ধরে এই লড়াই চালিয়েছেন তাঁরা ভেঙে পড়বেন না। আজ প্রমাণিত হয়েছে সত্যমেব জয়তে। এটা একটা আইনি প্রসেস। আর এতে আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’ শুধু তাই নয় ভারতে যেসব জায়গায় বিজেপি বিরোধী সরকার রয়েছে সেখানে কোর্টকে হাতিয়ার করে সেখানকার সরকারকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।
এমনকি সেইসব আদালতের অনেকেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য কিংবা বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য, সরকারকে নানা অপদস্থ করা হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আজকের রায় সুপ্রিম কোর্ট প্রমাণ করে দিয়েছে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে না। বিচারের বাণী সজোরে সোচ্চারে নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ায়।’ নিয়োগের ইস্যুতে এসএসসি’র নানা কথাকে বিকৃত করা হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এসএসসি সমস্ত কিছু পরিস্কার করবে বলে ব্রাত্য বসু জানান। তিনি বলেন, ‘একবারও ভেবে দেখা হয়নি এসএসসি যিনি বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছেন তিনি সেই সময় দায়িত্বে ছিলেন না। তাই তার লুকোনোরও কোনোও দায় নেই। উপরমহল থেকে কোনোও নির্দেশও ছিল না।’
এই নিয়োগ দুর্নীতির দায় নিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এই দায় যাদের, শিক্ষা দফতরের সেই একটা বড় অংশ বর্তমানে কারাবাস করছেন। তাই আগামী দিনে আমরা নতুন কোনোও নিয়োগ করলে তা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ভাবে ও মেধার ভিত্তিতে হবে।’