HS Topper List 2024 : মেয়েদের মধ্যে প্রথম, মেধা তালিকায় ১৩জন! উচ্চমাধ্যমিকে নতুন বেঞ্চমার্ক হুগলির – hs topper 2024 west bengal got 13 candidates from hooghly district


উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান। গোটা মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ১৩ জন। চমকপ্রদ ফল করে দেখাল হুগলি জেলার পরীক্ষার্থীরা। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার চোখ ধাঁধানো ফলে একসময় উঠে আসত বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুরর জেলার নাম। সেই তালিকায় যুক্ত হল হুগলি জেলাও।হুগলি থেকে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিল মোট ১৩ জন পরীক্ষার্থী । ৪৯৩ নম্বর পেয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সবার মধ্যে চতুর্থ হন স্নেহা ঘোষ। স্নেহা জানায়, প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি এত ভালো রেজাল্ট হবে। পড়াশোনার জন্য কোন নির্দিষ্ট বাঁধা ধরা সময় ছিল না যতক্ষণ ভালো লাগতো ততক্ষণই পড়াশোনা করতাম। সবথেকে বেশি ভালো লাগতো অংক করতে। টেস্টের আগে চেষ্টা করেছিলাম সিলেবাস কমপ্লিট করার। আগামী দিনে ইকোনোমিক্স পড়াশোনা করতে চাই।

এছাড়া উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ হয়েছে কোন্নগর ক্রাইফার রোডের রুদ্র দত্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর 491। রুদ্র মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। রুদ্র জানায়, ভালো ফল করব আশা করেছিলাম, কিন্তু এতটা ভালো ফল হবে আশা করিনি। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও বাবা মা আমাকে সব সময় সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় ছিল না, যখন সময় পেতাম তখনই পড়তাম। ফিজিক্স আমার প্রিয় বিষয়।

পাশাপাশি ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে হুগলির চুঁচুড়া গ্রীন পার্কের শুভ্র কিশোর ভট্টাচার্য। তার প্রাপ্ত নম্বর 491। হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শুভ্র। শুভ্র জানায়, আশা ছিল ভালো ফল হবে কিন্তু এতটা ভালো ফল হবে আশা করতে পারেনি ।দিনে ১০-১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। তবে নির্দিষ্ট কোন সময় ছিল না। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই।

মাধ্যমিকে দশম হওয়া ঋতব্রত উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে । হুগলির কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ঋতব্রত দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। তার মা শিক্ষিকা ও বাবা অবসরপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত কর্মী। ঋতব্রত জানায়, ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই ইতিমধ্যেই NET এ পরীক্ষা দিয়েছি সেখানে ভালো ফল হয়েছে। আঁকা ও কুইজ তার ভালো লাগে। আমার এই সাফল্যে বাবা ও মা সবসময় সাহায্য করেছে। ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মায়ের কাছেই বাংলা শিখেছি । পড়াশুনার কোনো বাধা ধরা সময় ছিল না। কখনো দু’ঘণ্টা আবার কখনও ১৬-১৭ ঘন্টা।

সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আরামবাগ হাই স্কুলের ছাত্র মহম্মদ শহিদ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। শাহিদ জানায় , ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাব। গিটার শেখা তার হবি। তার পাশাপাশি পড়াশোনাটা আমার কাছে নেশা। ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে । তবে ম্যাগি আমার কাছে খুব প্রিয় খাবার।

৪৮৮ নম্বর পেয়ে নবম স্থান অধিকার করেছে চন্দননগর চাউলপট্টির পৃথা দত্ত। চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয় এর ছাত্রী পৃথা । বাবা-মা দুজনেই গৃহ শিক্ষক। পৃথা জানায়, নিয়মিত স্কুলে আসতাম এবং স্কুলের শিক্ষকরা যা পড়াতেন সেটা মন দিয়ে করতাম। সাথে আট ঘন্টা পড়াশোনা করতাম তবে টেস্ট পরীক্ষার পর সেটা আরো বাড়তে থাকে। তিন জন শিক্ষকের কাছে পড়তাম আর বাকিটা মায়ের কাছেই পড়তাম। ভবিষ্যতে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই।

উচ্চ মাধ্যমিকের নবম স্থান অধিকার করে সকলকে চমকে দিয়েছে বৃষ্টি পাল। তার প্রাপ্ত নম্বর 488। চুঁচুড়া বালিকা বাণী মন্দিরের ছাত্রী বৃষ্টি। মাধ্যমিকের ভালো ফল করার পর উচ্চমাধ্যমিকেও ভালো ফল করেছে বৃষ্টি। সে জানায়, খুব একটা বেশি আশা করিনি এতটা ভালো ফল হবে।NET দিয়েছি আশা করছি ভালো ফল হবে। পড়াশোনার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় ছিল না। তবে কোন দিন কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করব সেটা ঠিক করে নিতাম।

HS Topper West Bengal : যমজ দুই বোনই মেধা তালিকায়, জীবনের লক্ষ্যও এক! খুশি হুগলির ঘোষ পরিবার
৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম হয়েছে চন্দননগর কৃষ্ণ ভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির স্কুলের ছাত্রী শোহা ঘোষ । সোহা বলেন, আমার বোন স্নেহার নাম শোনার পরেই খুব আনন্দ হচ্ছিল। তবে আমার নামটা বলবে এটা আমি ভাবতে পারিনি। আমারও ইচ্ছা ইকোনোমিক্স নিয়ে পড়াশোনা করা। পড়াশোনায় কোনো অসুবিধা হলে আমি বোনকে ও বোন আমাকে সাহায্য করত । ৪৮৯ পেয়ে অষ্টম হয়েছে মাহেশ রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অস্মিত কুমার মুখার্জি। পাশাপাশি, সোমশুভ্র কর্মকার, আরামবাগ হাইস্কুলের ছাত্র। এবারে ৪৮৯ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। হুগলির পরীক্ষার্থীদের এরকম তাক লাগানো ফলে খুশি জেলার বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *