HS Result 2023 : সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার জ্যোৎস্না – wb hs result 2023 bankura student jyotsna kisku first in santali language


এই সময়, বাঁকুড়া: উচ্চমাধ্যমিকে এবার সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে জঙ্গলমহলের মেয়ে জ্যোৎস্না কিস্কু। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের কাটগড়া গ্রামের বাসিন্দা জ্যোৎস্না রাইপুরের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৮। সাঁওতালি ভাষা ছিল তাঁর প্রথম ল্যাঙ্গুয়েজ। ওই বিষয়ে সে পেয়েছে ৯০ নম্বর। মেয়ের নজরকাড়া সাফল্যে খুশি পরিবার। গর্বিত স্কুল কর্তৃপক্ষও।এদিন বাড়িতে গিয়ে কৃতীকে সংবর্ধনা জানান রাইপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। জ্যোৎস্নার বাবা শুকদেব কিস্কুর পেশা চাষ। সারেঙ্গার কাটগড়া গ্রামে অ্যাসবেসটসের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ি তাদের ঠিকানা। মা শর্মিলা গৃহবধূ। দাদা সির্জন বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। রাইপুরের ওই আবাসিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে পড়ছে জ্যোৎস্না। থেকেছে হস্টেলে। নবম শ্রেণি থেকে সাঁওতালি ছিল তাঁর পাঠ্যে।

বুধবার রেজাল্ট ঘোষণার সময়ে বাবা, মা ও দাদার সঙ্গে মাঠে কৃষিকাজে ব্যস্ত ছিল জ্যোৎস্না। কেটে রাখা বোরোধান মাঠ থেকে তুলে বাড়ি আনার কাজ করছিলেন তাঁরা। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মোবাইলে সাফল্যের খবর পেয়ে স্কুলে চলে আসে জ্যোৎস্না। বলে, ‘সাঁওতালি আমাদের মাতৃভাষা। আগামী দিনে সাঁওতালি নিয়ে পড়াশোনা করে এই ভাষার শিক্ষিকা হতে চাই।’ কষ্টের সংসারেও ছেলে-মেয়ে দু’জনকেই শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্ন রয়েছে কিস্কু দম্পতির।

পড়াশোনায় সুনাম রয়েছে রাইপুরের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের। পঠনপাঠনে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যত্নবান স্কুলের শিক্ষকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘জ্যোৎস্নার এই সাফল্যে আমরা খুব আনন্দিত। শুধু এ বছরেই নয়, বিগত দিনেও আমাদের স্কুলের পড়ুয়ারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।’

Madhyamik First Girl Result : গৃহশিক্ষক ছাড়াই মাধ্যমিকে সব বিষয়ে লেটার, ফার্স্ট গার্ল পুষ্পিতার মার্কশিটে চোখ বুলিয়ে নিন

এদিন যখন ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছিল তখন জ্যোৎস্না মা বাবার সাথে মাঠে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। দাদা, খবর জেনে মাঠে ছুটে গিয়ে মা বাবা এবং বোনকে খবর দিলে কাস্তে হাতে মা, বাবা, দাদা, বোন ,চোখের জলে এই আনন্দ উপভোগ করেন। জ্যোৎস্না জানান, আমরা এতটাই গরীব বাবা একদিন দিনমজুরির কাজে না গেলে আমাদের সংসার চালানো খুব জটিল হয়ে যায়। মা-বাবা যদি আমাকে পড়াতে চান তাহলে ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বাবা শুকদেব কিস্কি এবং মা শর্মিলা দেবী জানালেন, মেয়ে যতদূর পড়তে চায় প্রাণপণ চেষ্টা করব ওর ইচ্ছে পূরণ করতে। সেই সাথে জানালেন পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা অমাইক গরিব দরদী না হলে আমার মেয়ে কোনদিন এই ফল করতে পারত না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *