বিজেপির জগন্নাথই তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বি বলেও দাবি করেন তিনি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই বাড়ির বাইরে কাটাচ্ছেন বলে দাবি তাঁর। নির্দল প্রার্থী জগন্নাথের দাবি, বিজেপির হুমকি এবং নানা চাপের কারণে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। তবে তাঁর সংগঠনের লোকেরা প্রচারের কাজ চালাচ্ছেন।
শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের ঢাকাপাড়ার বাসিন্দা জগন্নাথ সরকার আদতে একটি সবজির দোকানের কর্মী। রাজনীতির সাতে পাঁচে না থাকা ৫৮ বছরের সেই লোকটি এবার প্রথম নির্বাচনের ময়দানে নেমেছেন। তাও লোকসভার মতো বড় মাঠে। ঘটনাচক্রে রানাঘাটের বিদায় সংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী নামও জগন্নাথ সরকার। তিনিও শান্তিপুর ব্লকেরই বাসিন্দা। আড়বান্দী ২ পঞ্চায়েতের আরপাড়ায় বাড়ি তার।
BJP প্রার্থী জগন্নাথ সরকার দাবি করেছেন, ‘এটা আসলে তৃণমূলের চক্রান্ত। এর নামের দুই প্রার্থীকে ভোটে দাঁড় করিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা অপচেষ্টা। কিন্তু, সাধারণ মানুষ এতে বিভ্রান্ত হবে না বলে আমার বিশ্বাস।’
এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘যে কোনও ব্যক্তি ভোটে লড়তে পারেন। ওঁর কাজ অভিযোগ করা। ২০১৯ সালে ওঁকে দেখে কেউ ভোট দেয়নি। এবারে BJP প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের পরাজয় হবে অবশ্যই।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মুকুটমণি অধিকারীকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু, কিছু নথি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা হয়ে ওঠেনি এবং প্রার্থী করা হয়েছিল জগন্নাথ সরকারকে। এই বারও তাঁকে প্রার্থী করে। তারপরেই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুটমণি এবং তাঁকে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে তৃণমূল।