Madhyamik Examination Topper,মাতৃভাষার মতো ইংরেজিতেও সমান সড়গড়, মাধ্যমিকে প্রথম বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র চন্দ্রচূড় বললেন… – madhyamik examination topper chandrachur sen claims that even bengali medium students can speak in english fluently


বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা, প্রথম বিষয় বাংলা। কিন্তু, ইংরেজিটাও দিব্যি ঝরঝরে মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেনের। সম্প্রতি তাঁর দেওয়া ইংরেজি সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল। চন্দ্রচূড়ের স্পষ্ট দাবি, বাংলা মাধ্যমে পড়েও ঝরঝরে ইংরেজি বলা যায়।মাধ্যমিকে চন্দ্রচূড় ইংরেজিতে পেয়েছে ৯৯। মাধ্যমিকে প্রথম হওয়ার পর থেকেই এই কৃতীর কাছে তার সাফল্য রহস্য প্রসঙ্গে জানতে চাইছে সংবাদ মাধ্যম। পাঠক-দর্শকের কৌতুহল মেটানোর জন্য নিজেদের দায়িত্বে অবিচল সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা।

সম্প্রতি ইংরেজিতে চন্দ্রচূড়ের একটি সাক্ষাৎকার নেয় ‘আলিপুর নিউজ’। মাধ্যমিকের টপার এই ছাত্র বাংলা মাধ্যমে পড়লেও ইংরেজিতে তার দক্ষতা রয়েছে তা স্পষ্ট। সাবলীলভাবেই দ্বিতীয় ভাষায় কথা বলে সে।

বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়ারা নাকি ইংরেজি বলতে গেলে ঢোঁক গেলে, এই ধারণা বহুদিনের। এই ধারণার সঙ্গে সহমত নয় চন্দ্রচূড়। মাধ্যমিকের টপারের কথায়, ‘ছোট বেলা থেকে বাংলা ভাষার প্রতি ইংরেজি ভাষাও আমাকে সমানভাবে আকৃষ্ট করেছে। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল যে বাংলা ভাষা যেমন শিখব, তেমনই ইংরেজি ভাষাটাও শিখব। কারণ একথা কেউ অস্বীকার করতে পারে না যে আজ দেশের বাইরে গেলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একমাত্র নির্ভরযোগ্য ভাষা হয়ে দাঁড়ায় ইংরেজি। তাই ইংরেজি নিয়ে ন্যূনতম জ্ঞান যদি না থাকে সেক্ষেত্রে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে তা একটা সমস্যার কারণ হতে পারে।’

চন্দ্রচূড় আরও বলে, ‘বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে কিছু সময় দেখা যায় ইংরেজিটা ব্যাকরণগত ভাবে আমরা যতটা শিখি বা পুঁথিগতভাবে যতটা শিখি বলার ক্ষেত্রে খানিকটা জড়তা থাকে। আমার ক্ষেত্রেও তা একসময় ছিল। কিন্তু, মানুষের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলে তা কেটেছে।’

চন্দ্রচূড় নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়। সে বলে, ‘এর আগে আমি উত্তর ভারতে গিয়েছিলাম স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। সেখানকার মানুষজনদের সঙ্গে কথোপকথোন করার জন্য ইংরেজিই একমাত্র ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ, অনেকেই বাংলা বুঝতেন না। সেই সময় কথা বলতে বলতে যে জড়তাটা ছিল তা কেটে গিয়েছে বলতে পারি।’

ইতিহাস, ভূগোলে ১০০-য় ১০০, অংকে ৯৯, মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সাম্যপ্রিয়র মার্কশিটে একনজর

সে আলাদা করে ‘স্পোকেন কোর্স’ করেনি বলেই মন্তব্য করে। বাংলা মাধ্যমে পড়েও ঝরঝরে ইংরেজি বলা যায় বলে মন্তব্য এই কৃতীর। চন্দ্রচূড় দীপ্ত কণ্ঠে বলে, ‘ইচ্ছাশক্তির কাছে তো মাউন্ট এভারেস্টও মাথানত করে। সুতরাং আমার শেখার ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই পারব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *