Wbchse Result,সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঘুমিয়েও কী ভাবে পড়াশোনা? সিক্রেট ফাঁস উচ্চ মাধ্যমিকে নবম অন্বেষার – higher secondary 9th position student anwesha dutta reveals secret about her sleep


উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এই বছর স্থান পেয়েছেন মোট ৫৮ জন পড়ুয়া। তাঁদেরই একজন আলিপুরদুয়ারের অন্বেষা দত্ত। আলিপুরদুয়ার গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী অন্বেষা এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে নবম স্থান দখল করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। আর এই ফলাফলের জেরে ইতিমধ্যেই তাঁকে নিয়ে জয়জয়কার পড়ে গিয়েছে তাঁর স্কুলে। প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁর পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনেরাও। নিজের এই সাফল্যের জন্য পরিবারের সদস্যদেরই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।

‘এক্সট্রা কিছু করার চেষ্টা’

স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহশিক্ষকদের কাছেও নিয়মিতভাবে টিউশন নিয়েছেন অন্বেষা। স্কুলের পড়াশোনা বাড়িতে ঝালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সহায়িকা বইয়ের সাহায্য নিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সমানভাবে চলত প্র্যাকিটিস। এছাড়াও প্রশ্ন ধরে ধরে উত্তর তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতেন অন্বেষা। এই বিষয়ে অন্বেষা বলেন, ‘স্কুল ও টিউশনে পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে পড়তাম। সহায়িকা বইয়ের সাহায্য নিতাম, প্র্যাকটিস করতাম। নিজে একটু এক্সট্রা করার চেষ্টা করতাম।’ স্কুল ও টিউশন ক্লাস ছাড়াও নিজে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন অন্বেষা।

সপ্তাহে স্কুলে উপস্থিতি ২-৩ দিন

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন সুস্থ শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণভাবে প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর পরামর্শ দেন। আর অন্বেষাও এই সময় ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলার সময় ফাঁস করেছেন তাঁর ঘুমের সিক্রেট। উচ্চ মাধ্যমিকের বিপুল পড়াশনার চাপ থাকলেও রাত্রি ১২টা থেকে ১টার মধ্যে নিয়মিতভাবে শুয়ে পড়তেন তিনি। আর ঘুম থেকে উঠতে প্রায় সকাল ১০টা – সাড়ে ১০টা হয়ে যেতে। কিন্তু স্কুল থাকলে সকাল ১০টা – সাড়ে ১০টায় উঠে সময় ম্যানেজ করতেন কী ভাবে? উত্তরে অন্বেষা বলেন, ‘স্কুলে কম যাওয়া হত। সপ্তাহে ২-৩ দিন যেতাম, তখন একটু টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে হত।’

পড়তে চান ইংরেজি নিয়ে

উচ্চ মাধ্যমিকের লড়াই শেষ। এবার সামনে কলেজের পড়াশোনা। সেক্ষেত্রে আগামীদিনে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান অন্বেষা। একইসঙ্গে তিনি চান WBCS পরীক্ষার প্রস্তুতিও।

প্রসঙ্গত, এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৯০ শতাংশ। তার মধ্যে ছেলেদেরে পাশের হার ৯২.৩২ শতাংশ এবং মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১৮ শতাংশ। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৮৯.২৫ শতাংশ। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম দশে যে ৫৮ জন স্থান পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন ছাত্র ও ছাত্রী ২৩ জন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *