BJP In West Bengal: গেরুয়া শিবিরের বিক্ষুব্ধরাও বাংলায় ভোটে কাঁটা পদ্মের – west bengal bjp several members are contesting as independent candidates in lok sabha election


মণিপুস্পক সেনগুপ্ত
বাইরের বিরোধিতা তো থাকবেই। কিন্তু ঘরের বিরোধিতাও কিছু কম নয়। তাই ভোটের মাঝপথে ঘরে-বাইরে ক্রমশ চাপ বাড়ছে বঙ্গ-বিজেপির উপর। বাংলার বেশ কিছু আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা। যে বিক্ষুব্ধরা ভোটে দাঁড়িয়ে বিজেপির সরকারি প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ জানাননি, তাঁরা এলাকায় নিজের দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।চতুর্থ দফার ভোটের আগে এরকম কিছু লোকসভা আসনকে চিহ্নিত করে সেখানে বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ প্রশমিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, পদ্ম শিবিরের সাংগঠনিক নেতারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ‘বিক্ষুব্ধ সমস্যা’র সমাধানে বেরিয়ে পড়েছেন।

বাঁকুড়ায় সুভাষ সরকারকে ফের প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপির অন্দরে প্রথম থেকেই দড়ি টানাটানি ছিল। একাধিকবার তাঁকে বিক্ষুব্ধদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়তে হয়েছে বাঁকুড়ায়। টিকিট পাওয়ার পরে সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়ে সুভাষ প্রচার শুরু করলেও স্বস্তি মেলেনি তাঁর। কারণ, বাঁকুড়া জেলায় বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী নির্দল প্রার্থী হিসেবে সম্প্রতি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

ওই জেলার নিচুতলার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে জীবনের গ্রহণযোগ্যতাও যথেষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, এখনই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জীবনকে শান্ত করতে না পারলে অনিবার্যভাবে তিনি সুভাষের ভোট-ব্যাঙ্কে ভাগ বসাবেন। যা সুবিধা করে দেবে তৃণমূলেরই।

ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫মে কাঁথিতে ভোটগ্রহণ। সেখানে বিজেপির টিকিটে লড়তে দেখা যাবে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমন্দুকে। তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক এবং কংগ্রেসের উর্বশী ভট্টাচার্য ছাড়াও ভোট-যুদ্ধের মাঠে নেমে পড়েছেন বিদেশ বসু মাইতি নামে এক স্থানীয় বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। তিনি কাঁথি নগর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি।

গত ৩ মে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে বিদেশের নেতৃত্বেই লড়ে দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির বিধায়ক হয়েছিলেন অরূপ দাস। ২০২২ পুরসভা ভোটেও কাঁথির ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিটে লড়তে দেখা গিয়েছিল বিদেশকে। এরপরই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে বিজেপির জেলা নেতৃত্বর।

বনগাঁতেও বিজেপিকে ভাবাচ্ছে বিক্ষুব্ধরা। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ সরকার নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর লড়াই বিজেপির সরকারি প্রার্থী, বিদায়ী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বীরভূমে বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন দলেরই বর্ষীয়ান নেতা কালোসোনা মণ্ডল।

বীরভূমের বিভিন্নপ্রান্তে বিজেপিকে ভোট না-দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পোস্টার পড়েছে। সেই পোস্টারের নীচে কালোসোনা মণ্ডলের নাম লেখা। কালোসোনা অবশ্য পোস্টার সাঁটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তাঁর দাবি, বিজেপির লোকেরাই এ সব করছেন। এর থেকে অন্তত একটি বিষয়ে নিশ্চিত যে, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কালোসোনার দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে।

ভোটের মুখে বিজেপির অন্দরের এই গোষ্ঠী কোন্দল প্রসঙ্গে দলের রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলায় দল অনেক বড় হয়েছে। দেশ জুড়েই বিজেপিকে নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সে কারণে অনেকেই বিজেপির প্রার্থী হতে চাইছেন। তবে এটা কাম্য নয়। পার্টি এর থেকে বেরিয়ে আসবে। সবাই সঙ্ঘবদ্ধভাবে বিজেপি প্রার্থীদের পাশে থেকে তাঁদের হয়ে লড়াই করবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *