Calcutta High Court News : HIDCO-র জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস! ভেঙে ফেলার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার – calcutta high court ordered for demolition of illegal tmc party office on hidco land newtown


হিডকোর জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ। বিষয়টি গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।নিউটাউনে হিডকো জমি দখল করে গড়ে তোলা শাসক দলের পার্টি অফিস ভেঙে ফেলার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। আজ, শুক্রবার মামলার শুনানিতে তিনটি পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি পার্টি অফিস তাঁদের জমিতেই গড়ে উঠেছে বলে এদিন রিপোর্ট দিয়ে জানায় হিডকো। এরপরেই দলই কার্যালয়গুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

আদালত সূত্রে খবর, শুধু একটি পার্টি অফিস নয়, হিডকো জমিতে এমন ৩৫ টি আরও রাজনৈতিক কার্যালয় বানানো হয়েছে। আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন মামলাকারী। বিচারপতি এদিন বলেন, ‘কেন নিজেদের সম্পত্তি রক্ষা করতে পারছেন না? দখল হয়ে যাচ্ছে ফুটপাত! নির্মাণ করা হচ্ছে অবৈধ ভাবে! আপনাদের কি কোন নির্দিষ্ট আইন নেই?’ বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা পার্টি অফিসগুলিকে এরপর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি।

এই মামলায় কিছুদিন আগেই হাইকোর্টে ভর্ৎসনা মুখোমুখি হয় হিডকো এবং এনকেডিএ। এরপরেই জমি দখল করে রাজারহাট ও নিউ টাউনে একাধিক বেআইনি পার্টি অফিস সরিয়ে ফেলতে নড়েচড়ে বসে হিডকো। দখলদার সরাতে অবৈধ পার্টি অফিসগুলিতে নোটিশ পাঠায় হিডকো। নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ নির্মাণ না ভাঙলে হিডকো নিজেই সেই নির্মাণ ভেঙে দেবে আগামী দিনে।

হিডকোর সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস ছাড়াও একাধিক ঝুপড়ি দোকান গজিয়ে উঠেছিল। হিডকো ও এনকেডিএ অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ দোকান ঘরগুলি ইতিমধ্যে ভেঙে ফেলেছে। তবে পার্টি অফিসগুলি ভাঙা হয়নি বলেই অভিযোগ ছিল। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে হাইকোর্ট।

অফিসে ‘সুইটি’, ‘বেবি’ বলা মানেই হেনস্থা নয়: হাইকোর্ট
শহরে অবৈধ নির্মাণ রুখতে এর আগেও কড়া অবস্থান নিয়েছিল রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। বিশেষত, গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর এই বিষয় নিয়ে কলকাতা পুরসভাকে কড়া বার্তা দিয়েছিল হাইকোর্ট। এমনকি, বিধাননগর পুরসভার ৩৫, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩৩৩ টি অবৈধ নির্মাণ নিয়েও হাইকোর্টে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চও এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার ব্যাপারে নিদান দিয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *