CV Ananda Bose : কী হয়েছিল রাজভবনে? পূর্ত দফতর থেকে এল CCTV ফুটেজ, তদন্তে লালবাজার – kolkata police collect cctv footage of raj bhaban for enquiry against governor cv anada bose


রাজভবনের অন্দরমহলের সিসিটিভি ফুটেজ কী বলছে? শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে রাজভবনে কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিল কলকাতা পুলিশের বিশেষ টিম। সেই ফুটেজ দেওয়া হয়নি রাজভবনের তরফে। উলটে, বেশ কিছু ফুটেজ আলাদা করে দর্শকদের দেখানো হয় বৃহস্পতিবার। তবে, সেখানে অন্দরমহলের কোনও চিত্র দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ। এবার ঘুরপথে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করল লালবাজার।লালবাজার সূত্রের খবর, বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল (SET) রাজভবনের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাজভবনে পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এরপর লালবাজারে তরফ থেকে PWD-কে চিঠি দেওয়া হয়। PWD-এর আইটি সেলের কাছ থেকে এই সিসিটিভি ফুটেজ গুলি পায় লালাবাজার। যেহেতু রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব PWD-এর আওতায় সেই কারণে তাঁদের থেকে এই ফুটেজ জোগাড় করা হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে লালবাজারে হাতে এসেছে রাজভবনের ৪ টি সিসিটিভি ফুটেছে। যার প্রতিটার টাইম ডিউরেশন বা সময়সীমা প্রায় ২ ঘণ্টা করে।

কী দেখা গেল এই সিসিটিভি ফুটেজে?

সিসিটিভি ফুটেজের একটি জায়গায় দেখা যায়, অভিযোগকারীনি সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এবং ছুটতে ছুটতে নামছেন। (এই ঘটনা সিসিটিভি আওতাভুক্ত)। অভিযোগকারিণীর বয়ান অনুযায়ী, বিকেল ৪ টে থেকে সাড়ে ৪ টে নাগাদ অভিযোগকারিণীর কাছে ফোন আসে রাজ্যপালের। রাজ্যপাল তাঁকে ডাকেন। অভিযোগকারীনির দাবি, যেহেতু ২৪ শে এপ্রিল তিনি রাজ্যপালের কাছে একবার শ্লীলতাহানির শিকার হন, তাই সেই মুহূর্তে সুপারভাইজারকে নিয়ে রাজ্যপালের ঘরে যান অভিযোগকারীনি। সুপারভাইজার পুরুষ ছিলেন। এরপর অভিযোগকারী পুলিশের কাছে দাবি করেছে, সুপারভাইজারকে নিয়ে যখন অভিযোগকারিণী রাজ্যপালের ঘরে যান তখন সুপারভাইজারকে রাজ্যপাল বলেন, ‘তুমি কেন এসেছ, তুমি যাও।’

রাজভবনের ৪ কর্মীকে নিয়ে তদন্ত

এরপর সুপারভাইজার বেরিয়ে গেলে ২০-২৫ মিনিট অভিযোগকারীনি ছিলেন রাজ্যপালের ঘরে, এমনটাই দাবি করেছেন অভিযোগকারীনি। এমনকি সেই সময় তার সঙ্গে যাবতীয় ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি অভিযোগকরিণীর। (এই ঘটনা সিসিটিভি আওতাভুক্ত নয়)। মূলত এরপরই তাঁকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছুটতে ছুটতে নামতে। এত তাড়াতাড়ি অভিযোগকারীণী দৌড়েছিলেন যে তিনি কেবলমাত্র তিন থেকে চার সেকেন্ড সিসিটিভির আওতাভুক্ত হন।

এই সময়ই তার পিছনে বেশ কয়েকজন কর্মীকে দৌড়াতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা আটকও করেছিলেন অভিযোগকারীনিকে। তাঁদের মধ্যে ১ মহিলা কর্মী ছিলেন এবং ৩ জন পুরুষ কর্মী ছিলেন। (এই ঘটনা সিসিটিভি আওতাভুক্ত)। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই ৪ জন কর্মীর স্ক্রিন শর্ট নিয়ে লালবাজার রাজভবনকে পাঠিয়েছে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য। পরবর্তীকালে তাদেরকে পুলিশ তলব করতে পারে, এমনটাই পুলিশ সূত্রের খবর।

‘এরপর তো আত্মঘাতী হওয়া ছাড়া…!’ CCTV ফুটেজ প্রকাশ করায় রাজ্যপালের নিন্দায় সরব অভিযোগকারী
অভিযোগকারীনির দাবি, এরপর সে চলে যায় স্পেশাল সেক্রেটারির ঘরে। সেখানে ছিল স্পেশাল সেক্রেটারি, ডাক্তার এবং রাজভবনের আরও এক কর্মী। এই ঘরে গিয়ে ডাক্তারকে দেখে অভিযোগকারীনি তার প্রাথমিক চিকিৎসাও করায়। এই সম্পূর্ণ ঘটনা সিসিটিভির আয়তাভুক্ত না থাকলেও এই ৩ জনকেই আজ তলব করেছিল লালবাজার। তবে এই তিনজনই আজ হাজিরা দেননি। উল্লেখ্য, রাজভবনের ফাস্ট ফ্লোর, রাজ্যপালের ঘর, রাজ্যপালের অফিস এই পুরো করিডোরে সিসিটিভি থাকে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *