কী দেখা গেল এই সিসিটিভি ফুটেজে?
সিসিটিভি ফুটেজের একটি জায়গায় দেখা যায়, অভিযোগকারীনি সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এবং ছুটতে ছুটতে নামছেন। (এই ঘটনা সিসিটিভি আওতাভুক্ত)। অভিযোগকারিণীর বয়ান অনুযায়ী, বিকেল ৪ টে থেকে সাড়ে ৪ টে নাগাদ অভিযোগকারিণীর কাছে ফোন আসে রাজ্যপালের। রাজ্যপাল তাঁকে ডাকেন। অভিযোগকারীনির দাবি, যেহেতু ২৪ শে এপ্রিল তিনি রাজ্যপালের কাছে একবার শ্লীলতাহানির শিকার হন, তাই সেই মুহূর্তে সুপারভাইজারকে নিয়ে রাজ্যপালের ঘরে যান অভিযোগকারীনি। সুপারভাইজার পুরুষ ছিলেন। এরপর অভিযোগকারী পুলিশের কাছে দাবি করেছে, সুপারভাইজারকে নিয়ে যখন অভিযোগকারিণী রাজ্যপালের ঘরে যান তখন সুপারভাইজারকে রাজ্যপাল বলেন, ‘তুমি কেন এসেছ, তুমি যাও।’
রাজভবনের ৪ কর্মীকে নিয়ে তদন্ত
এরপর সুপারভাইজার বেরিয়ে গেলে ২০-২৫ মিনিট অভিযোগকারীনি ছিলেন রাজ্যপালের ঘরে, এমনটাই দাবি করেছেন অভিযোগকারীনি। এমনকি সেই সময় তার সঙ্গে যাবতীয় ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি অভিযোগকরিণীর। (এই ঘটনা সিসিটিভি আওতাভুক্ত নয়)। মূলত এরপরই তাঁকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছুটতে ছুটতে নামতে। এত তাড়াতাড়ি অভিযোগকারীণী দৌড়েছিলেন যে তিনি কেবলমাত্র তিন থেকে চার সেকেন্ড সিসিটিভির আওতাভুক্ত হন।
এই সময়ই তার পিছনে বেশ কয়েকজন কর্মীকে দৌড়াতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা আটকও করেছিলেন অভিযোগকারীনিকে। তাঁদের মধ্যে ১ মহিলা কর্মী ছিলেন এবং ৩ জন পুরুষ কর্মী ছিলেন। (এই ঘটনা সিসিটিভি আওতাভুক্ত)। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই ৪ জন কর্মীর স্ক্রিন শর্ট নিয়ে লালবাজার রাজভবনকে পাঠিয়েছে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য। পরবর্তীকালে তাদেরকে পুলিশ তলব করতে পারে, এমনটাই পুলিশ সূত্রের খবর।
অভিযোগকারীনির দাবি, এরপর সে চলে যায় স্পেশাল সেক্রেটারির ঘরে। সেখানে ছিল স্পেশাল সেক্রেটারি, ডাক্তার এবং রাজভবনের আরও এক কর্মী। এই ঘরে গিয়ে ডাক্তারকে দেখে অভিযোগকারীনি তার প্রাথমিক চিকিৎসাও করায়। এই সম্পূর্ণ ঘটনা সিসিটিভির আয়তাভুক্ত না থাকলেও এই ৩ জনকেই আজ তলব করেছিল লালবাজার। তবে এই তিনজনই আজ হাজিরা দেননি। উল্লেখ্য, রাজভবনের ফাস্ট ফ্লোর, রাজ্যপালের ঘর, রাজ্যপালের অফিস এই পুরো করিডোরে সিসিটিভি থাকে না।