স্থানীয় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়তেই থমকে যায় গাড়ি। এরপর একের পর এক গাড়িতে ‘চেকিং’ শুরু করে রামলাল। একটি রেশন দ্রব্য পরিবহণ সামগ্রীর ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় দিয়ে চালের বস্তাকে টেনে বের করে। তারপর রাস্তায় একাধিকবার আছাড় মেরে ছিঁড়ে ফেলে বস্তা। চাল সাবাড় করে ফের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সকাল দশটা নাগাদ ফের জঙ্গল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে রামলাল। ফের বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
ঝাড়গ্রামের দিকে যাওয়া একটি লরি থেকে চালের বস্তা নামিয়ে খেয়ে সাবাড় করে সে। দু’দফায় প্রায় দু’ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাজ্য সড়কে। ঘটনাস্থলের পাশেই ঝাড়গ্রাম ব্লকের সার্ভিলেন্স টিমের চব্বিশ ঘণ্টা নাকা চেকিং চলছে। চোখের সামনে বুনো হাতির ‘তোলাবাজি’ দেখে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মী বলেন, ‘এরকম আগে কখনও দেখিনি। আমাদের নাকা চেকিং-এর কাজে সমস্যা হয়েছে। রাস্তায় প্রচুর গাড়ি দু’দিকে দাঁড়িয়ে পড়ায় যানজট হয়।’
ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, ‘রামলাল শান্ত প্রকৃতির। যেহেতু বুনো হাতি, তাই হঠাৎ করে রামলালের কাছে যেন কেউ না যায়। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। হাতিটির উপর বনকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।’
অন্যদিকে, বুধবার রাতে ৩০ থেকে ৩৫ টি হাতির দল গোপীবল্লভপুরের পিড়াশিমূল, আলমপুর, ভট্টগোপালপুর প্রভৃতি গ্রামের চাষ জমিতে হানা দিয়ে সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এলাকার চাষি রবীন্দ্র পৈড়া, বিপদভঞ্জন সাউ বলেন, ‘পটল, লঙ্কা, কুমড়ো গাছ মাড়িয়ে তছনছ করে দিয়েছে। এই এলাকা দিয়ে হাতি যাতায়াত করছে বলে বন দপ্তর আগাম কোনও বার্তা দেয়নি।’