Lodhasuli Jhargram State Highway,রাস্তায় লরি থামিয়ে তোলাবাজি রামলালের – lodhasuli jhargram state highway traffic stopped for two hours due to ramlal elephant rampage


এই সময়, ঝাড়গ্রাম: রামলালের ‘তোলাবাজি’-র জেরে দু’দফায় প্রায় দু’ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকল লোধাশুলি-ঝাড়গ্রাম ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পথচলতি সাধারণ মানুষ থেকে নির্বাচন কমিশনের নাকা চেকিং-এর দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। এ দিন ভোরের আলো ফুটতেই গড় শালবনির ফলের বাগান থেকে বেরিয়ে পড়ে বুনো হাতি রামলাল।শান্ত স্বভাবের রামলাল এখনও পর্যন্ত কাউকে আক্রমণ না করলেও পেটে টান পড়লেই হানা দেয় লোকালয়ে। গৃহস্থের ঘরের ধান-চাল থেকে শুরু করে জমির ফসল সাবাড় করে নিমেষে। গত কয়েক দিন ধরে গড় শালবনি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে সে। কাজু, আম, লিচুর বাগানে হানা দিয়ে দিব্যি খাওয়া-দাওয়া সেরে গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ছে। বাগানে বাগানে ঘুরে বেড়ানোর পরে এদিন সকালে শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিকাশ ভারতী এলাকায় রাজ্য সড়কে হানা দেয় সে।

স্থানীয় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়তেই থমকে যায় গাড়ি। এরপর একের পর এক গাড়িতে ‘চেকিং’ শুরু করে রামলাল। একটি রেশন দ্রব্য পরিবহণ সামগ্রীর ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় দিয়ে চালের বস্তাকে টেনে বের করে। তারপর রাস্তায় একাধিকবার আছাড় মেরে ছিঁড়ে ফেলে বস্তা। চাল সাবাড় করে ফের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সকাল দশটা নাগাদ ফের জঙ্গল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে রামলাল। ফের বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

ঝাড়গ্রামের দিকে যাওয়া একটি লরি থেকে চালের বস্তা নামিয়ে খেয়ে সাবাড় করে সে। দু’দফায় প্রায় দু’ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাজ্য সড়কে। ঘটনাস্থলের পাশেই ঝাড়গ্রাম ব্লকের সার্ভিলেন্স টিমের চব্বিশ ঘণ্টা নাকা চেকিং চলছে। চোখের সামনে বুনো হাতির ‘তোলাবাজি’ দেখে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মী বলেন, ‘এরকম আগে কখনও দেখিনি। আমাদের নাকা চেকিং-এর কাজে সমস্যা হয়েছে। রাস্তায় প্রচুর গাড়ি দু’দিকে দাঁড়িয়ে পড়ায় যানজট হয়।’

ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, ‘রামলাল শান্ত প্রকৃতির। যেহেতু বুনো হাতি, তাই হঠাৎ করে রামলালের কাছে যেন কেউ না যায়। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। হাতিটির উপর বনকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন।’

অন্যদিকে, বুধবার রাতে ৩০ থেকে ৩৫ টি হাতির দল গোপীবল্লভপুরের পিড়াশিমূল, আলমপুর, ভট্টগোপালপুর প্রভৃতি গ্রামের চাষ জমিতে হানা দিয়ে সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এলাকার চাষি রবীন্দ্র পৈড়া, বিপদভঞ্জন সাউ বলেন, ‘পটল, লঙ্কা, কুমড়ো গাছ মাড়িয়ে তছনছ করে দিয়েছে। এই এলাকা দিয়ে হাতি যাতায়াত করছে বলে বন দপ্তর আগাম কোনও বার্তা দেয়নি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *