৪ মে ২০২৪-এ সেই ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। যদিও বিজেপির তরফে ওই দিনই দাবি করা হয় যে ভিডিয়োটি ভুয়ো। এমনকী তাঁর গঙ্গাধর নিজে দাবি করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে ওই ভিডিয়ো।
৮ মে ২০২৪ তারিখে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশও এই বিষয়ে মুখ খোলেন। ওই মহিলারা সরাসরি দাবি করেন, কোনওরমক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেইনি। যেদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মা আসেন, সেই দিন তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারও ৪ থেকে ৫ দিন পরে তাঁরা জানতে পারেন যে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পি নামে এক বিজেপি নেত্রীর নামও উঠে আসে। অন্যদিকে এরই মাঝে আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে রেখা পাত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নির্যাতিতা মায়েরা সন্দেশখালিতে পড়ে আছি, আর আমাদের মুখ হিসেবে কারা গিয়েছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে, তা জানা প্রয়োজন। আমরা আন্দোলনে মুখ, আমাদের না নিয়ে গিয়ে অন্যদের সাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস কে দিয়েছে?’ সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় মাম্পিকেও। যদিও কোনও ভিডিয়োরই সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
৯ মে ২০২৪ মাম্প দাবি করেন ওই ভিডিয়ো পুরনো। এদিকে আবার সন্দেশখালির মহিলাদের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে তলব করে পুলিশ।
১০ মে ২০২৪ জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধ নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। এদিকে এই দিনই সন্দেশখালিতে ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়ান হচ্ছে বলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর কয়াল ও তাঁর ছেলে। মামলার শুনানি আগামী সোমবার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, সময় যত এগোবে ততই চড়বে সন্দেশখালির পারদ।