শনিবার সাতসকালে বেপরোয়া বাইক চালানোর জেরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এল যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা এলাকার আড়াপাঁচে। মৃতের নাম আজাদ শেখ (৩৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আজাদ শেখ অঙ্কুশ শর্মা অভিনীত মির্জা সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের।সোনারপুর থানা এলাকার জগদীশপুরের বাসিন্দা আজাদ শেখ। ভোর চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাবে বলে বার হয়েছিলেন আজাদ। তাঁর বাবা জানান, ছেলেকে বারণই করেছিলেন তিনি। কারণ কয়েকদিন পর সপরিবারে তাঁদের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোনও নিষেধ শোনেনি ছেলে। পথে এই ধরনের বিপত্তি। কপালের লেখা খণ্ডাবে কে! কান্নায় ভেঙে পড়েন আজাদের বাবা। তাঁর একটি ৯ বছরের ছেলেও রয়েছে। আগামী ২০ মে তাঁর ছেলের জন্মদিন। এই বছর ১০-এ পা দেবে সে। জন্মের সময়ই হারিয়েছিল মাকে। ছোটবেলা থেকেই তার মা এবং বাবা আজাদ-ই। জন্মদিনের ৯ দিন আগে বাবাকেও হারাল এই খুদে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর সময় সজোরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছোট গাড়িতে ধাক্কা দেয় আজাদ। বাইকের গতিবেগ এতটাই ছিল যে সামনের চাকা খুলে যায়। গুরুতর আহত হন আজাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তদন্তকারীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই আজাদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর সময় সজোরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছোট গাড়িতে ধাক্কা দেয় আজাদ। বাইকের গতিবেগ এতটাই ছিল যে সামনের চাকা খুলে যায়। গুরুতর আহত হন আজাদ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তদন্তকারীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই আজাদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আজাদের পরিবারের দাবি, একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি অভিনয়ের প্রতি ছিল বিশেষ ঝোঁক। তাঁর জামাইবাবু জিয়াদ মল্লিকের দাবি, আজাদ ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতেন। সম্প্রতি অঙ্কুশ হাজরার ছবি ‘মির্জা’-তে কাজ করেছিলেন তিনি, এমনটাই দাবি করেছেন। এই ঘটনার খবর সামনে আসার পরেই শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। ইতিমধ্যেই প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজাদের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে। তাঁদের কথায়, ‘এদিন ওর বাড়ি থেকে বার হওয়ার কথাই ছিল না। সকলে মিলে ওর মামাবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল দুই দিন পর। কিন্তু, এদিন আজাদ কারও কথা না শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। যদি ওকে আটকাতে পারতাম…’।