ব্যান্ডেল থেকে হুগলি চুঁচুড়া চন্দননগর প্রতিটি স্টেশনে নেমে যাত্রীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। ট্রেনের ভিতরেও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন, পরিচিত হন। রচনা জানান, তিনি রোড শো করছেন বিভিন্ন জায়গায় সেখানে হয়ত হুগলির ভোটার যাঁরা চাকরি করেন, কলকাতায় যান তাঁরা থাকতে পারেন না। তাই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই ট্রেনে স্টেশনে জনসংযোগ-এর আয়োজন।
যাত্রীদের অনেকের আবদার মেটালেন সেলফি তুলে। ভেন্ডার কামরায় সব্জি নিয়ে যাওয়া চাষিদের সঙ্গেও কথা বলেন। চন্দননগর স্টেশনে নেমে চা খান। সেখানে চন্দননগর হাসপাতালের এক চিকিৎসক রচনাকে গান শোনান। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা কুসুম ঘরামি নামে এক মহিলা দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে গিয়েছিলেন। দিদি নম্বর ওয়ান প্রচারে আসছেন শুনে তিনিও চলে আসেন। রচনার সঙ্গে ট্রেনে ঘোরেন। নাচ করে দেখান।
এর আগে হগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় লোকাল ট্রেনে জনসংযোগ করেছিলেন। রচনা সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘উনি ওনার মতো প্রচার করছেন। আমি আমার মত। আমি তো গঙ্গা আরতি করেছি লকেট গঙ্গায় নৌকা নিয়ে প্রচার করেছে। ট্রেনের যাত্রীরা কোনও সমস্যার কথা জানান কিনা সে প্রশ্নে রচনা বলেন, ‘এখনো কেউ কিছু জানায়নি। পরে যদি জানায় নিশ্চই শুনব।’ প্রচারের মাঝেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় নির্বাচনে জিতে এলে কী করবেন? রচনার জবাব, ‘জিতে এলে অনেক কাজ করব। সব পরকিল্পনা করা আছে। আপনারা সকলেই দেখতে পাবেন।’