রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে মতুয়া ভোট। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর পূর্ব ও চাকদহে মতুয়া সম্প্রদায়ের আধিক্য বেশি। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ঝুলি থেকে নতুন অস্ত্র বের করেছে বিজেপি। দেশ জুড়ে লাগু হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইনের দৌলতেই মতুয়া ভোট নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে গেরুয়া শিবির।
গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে রানাঘাট উত্তর পশ্চিম, রানাঘাট উত্তর পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, চাকদা, কৃষ্ণগঞ্জ মোট পাঁচটি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। নবদ্বীপ এবং শান্তিপুর আসনটি নিজেদের দখলে আনতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইটা যে বেশ কঠিন, সে কথা মেনে নিচ্ছেন স্থানীয় নেতৃত্বরাও।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা নদিয়া জেলার এই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের ৪৮ শতাংশ মতুয়া। তাই মতুয়া মন জিততে পারলেই ‘কেল্লা ফতে’। ২০১৯ এবং ২০২১ সালে দুটি বড় নির্বাচনেই মতুয়া ভোট সরতে দেখা যায়নি গেরুয়া ভোট বাক্স থেকে। তবে এবার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ মুকুটমণি অধিকারীকেই দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি কতটা মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারবেন, সেটাই দেখার।
অন্যদিকে, বামেদের হয়ে এবার রানাঘাট থেকে লড়ছেন সিপিএম প্রার্থী অলকেশ দাস। এলাকাভিত্তিক ইস্যু তুলে ধরে প্রচার সারছেন তিনি। শান্তিপুরের তাঁতিদের সমস্যা, নদী ভাঙন সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই লোকসভা কেন্দ্রে। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রের বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোট ধরলে তা প্রায় ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি। ফলত, স্থানীয় সমস্যার সঙ্গে সিএএ ইস্যু, রানাঘাটে শেষ পর্যন্ত কার মাথায় মুকুট উঠবে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।