Toto Rickshaw : বিপদ জেনেও দিল্লি রোডে টোটো, মৃত্যুর পরেও হুঁশ ফেরেনি কারও – toto service in delhi road despite the police ban in hooghly serampore


প্রদীপ চক্রবর্তী, শ্রীরামপুর
২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে দিল্লি রোডে ট্রাকের ধাক্কায় টোটো পিষে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তারপরেও জাতীয় সড়কে দেদার টোটো চলাচলের ছবি ধরা পড়ল শুক্রবারও। অথচ জাতীয় সড়কে টোটো ওঠাই বারণ। এ নিয়ে পুলিশের নিষেধ রয়েছে। আদালতও শাস্তি ও জরিমানার নির্দেশ দিয়ে রেখেছে। কিন্তু তাতেও যেন কারও কোনও হেলদোল নেই।বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে দিল্লি রোডে একটি টোটোকে পিষে দেয় লরি। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় টোটোর দুই মহিলা যাত্রীর। মারা যান টোটোর চালকও। গুরুতর জখম টোটোর এক নাবালিকা যাত্রী কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এরপরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। লরিটিতে ভাঙচুর চলে।

তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি তো বটেই রিষড়া, বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর, চুঁচুড়ায় দিল্লি রোডে রমরমিয়েই টোটো চলতে দেখা গেল। দিল্লি রোড বা যে কোনও জাতীয় সড়কে টোটো চালানো যাবে না বলে আদালত ও পুলিশের নির্দেশ থাকা স্বত্ত্বেও কী ভাবে টোটো চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।

এখন রিষড়া থেকে দিল্লি রোড ধরে মগরা পর্যন্ত অনেক জায়গায় ফোর লেনের কাজ চলছে। তাই ঝুঁকিও বাড়ছে। এমনিতেই দিল্লি রোডে গাড়ি জোরে চলে। প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি দিল্লি রোড ধরে যাতায়াত করে। সেখানে টোটোর মতো হালকা গাড়ি চালানোই বিপজ্জনক। যদিও দিল্লি রোডের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, সিগন্যাল পয়েন্ট ছাড়াও অনেক জায়গায় পুলিশের কিয়স্ক রয়েছে। সেখানে পুলিশ থাকলেও দিনের আলোয় পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই কখনও যাত্রীবোঝাই কখনও সব্জিবোঝাই টোটো চলছে।

দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও তা থোড়াই কেয়ার করেন টোটো চালকরা। বাঙ্গিহাটি এলাকার এক টোটো চালক বলেন, ‘আমরা আগে গলিতেই টোটো চালাতাম। আগে দিল্লি রোড দিয়ে অনেক বাস যেত। এখন বাসের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাই দিল্লি রোডের ধারে কারখানার শ্রমিকদের ভরসা টোটোই। বেআইনি জেনেও পেটের তাগিদে আমরা দিল্লি রোডে গাড়ি চালাই।’ আর একটি যুক্তিও উঠে আসছে।

অলিগলিতে টোটো বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি রোজগারের আশায় অনেকেই দিল্লি রোডে টোটো চালাচ্ছেন। দিল্লি রোডে ভারী যানবাহনে দুর্ঘটনায় আশঙ্কা বেশি প্রসঙ্গে এক টোটো চালক বললেন, ‘দুর্ঘটনা তো জিটি রোড বা গলিতেও হতে পারে।’ তবে রাতের বেলা দিল্লি রোডে টোটো চলে না বলে দাবি করেছে টোটো ইউনিয়নগুলি।

Road Accident : দিল্লি রোডে বেপরোয়া ট্রাক পিষে দিল টোটো, মৃত ৩

দিল্লি রোডে টোটোর সংখ্যা এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় পুলিশ-প্রশাসনকে দায়ী করছেন অনেকেই। অভিযোগ, দিল্লি রোডে টোটো নিয়ে উঠলেও সে ভাবে পুলিশ আটকায় না। তবে বাঙ্গিহাটিতে দুর্ঘটনার পরেই শুক্রবার থেকে পুলিশি তৎপরতা বেড়েছে। রাস্তায় বাড়ানো হয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশের নজরদারি। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সিগন্যালে জোর দেওয়া হয়েছে।

গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘জাতীয় সড়ক বা দিল্লি রোডে টোটো চালানোর বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান ও জরিমানা জারি আছে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে টোটো চললেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় টোটো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *