তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে মিঠুন বলেন, ‘CAA নিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে একটি পার্টি। এদের মিথ্যে লগ্নে জন্ম এবং দূর্নীতি এদের রাশি। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য একটি আইন, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। বিজেপি এলে একটাই ভালো হবে আপনারা সকলে নাগরিকত্ব পাবেন।’ মিঠুন আরও বলেন, ‘ যদি মিথ্যা কথা বলি তাহলে আপনারা থুতু ফেলবেন আমি তা চাটবো।’
সিএএর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার তালিকায় অবশ্যই থাকছে একশো দিনের কাজ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আর্থিক বঞ্চনার কথা। কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের কথা তুলে ধরে প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এর পালটা জবাব দেন মিঠুন। প্রচার সভা থেকে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে একটাই কথা, ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না। এই টাকা বিজেপির টাকা নয়, আমার আপনার ট্যাক্সের টাকা। ক্যাগ বলে একটি সংস্থা আছে যারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হিসাব দেখেন। তারাই এই রাজ্যের হিসাবে সন্তুষ্ট নয়। তারাই বলে দিয়েছে এই রাজ্যকে টাকা দেওয়া যাবে না। এতে বিজেপির কী সম্পর্ক? প্রশ্ন তোলেন মিঠুন।
এর পরেই মিঠুনের নিশানায় ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিঠুন বলেন,’ওঁকে (মমতা) বলুন একদিন প্রেসমিট করে হিসাব দিতে। তারপর যদি না মেলে আমি ওদের সঙ্গ হাঁটবো। এরা বাথরুমের টাকাও মেরে দিচ্ছে। আবার উনি বলছেন বাংলায় বাড়ি বানিয়ে দেবো। বাংলার অধিকাংশ বাড়ির ৪০/৫০ শতাংশ হয়ে পড়ে রয়েছে। একবারও বলছেন না হিসাব দেখাতে পারিনি বলে মিলছে না।’
মহিষাদল ব্লকের বেতকুন্ডু অঞ্চলের গঙ্গামোড়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলির সমর্থনে নির্বাচনে সভায় হাজির ছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মহিষাদলের বেতকুন্ডু অঞ্চলের দাঙ্গামোড়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় যান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল সহ অন্যান্যরা।