এদিকে এনক্লোজারে যে নাইট শেল্টারে সদ্যজাতরা সহ রিমঝিম ও গরিমা রয়েছে সেদিকে যাতে পর্যটকরা যাতায়াত না করেন সেজন্য এনক্লোজারের একদিক উঁচু করে ঢেকে রাখা হয়েছে। প্রসবের পরে রিমঝিম এবং গরিমার স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। নাইট শেল্টারের ভেতরেই খড়ের গাদা পেতে দেওয়া হয়েছে তাদের জন্য। সেখানেই মায়ের সঙ্গে দিব্যি ডিগবাজি খেতে দেখা যাচ্ছে শাবকদের।
এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, ‘আমরা অত্য়ন্ত খুশি। আগামীদিনে পর্যটকরা আরও বেশি চিতাবাঘ দেখতে পারবেন। আমরা খুবই সতর্ক ছিলাম। আমাদের পশু চিকিৎসকরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। যা চার্ট দিয়েছিলেন ডাক্তারবাবুরা সেই মোতাবেক খাওনো হচ্ছিল। মা ও শাবক প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে। আমাদের কাছে দুটো মহিলা চিতাবাঘ ছিল। এরপর তিনটে পুরুষ চিতাবাঘ আনা হয়। এরপর ওরা এনক্লোজারে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওদের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছি। ওআরএস দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। আমরা ভীষণ গর্বিত। আশা করি পর্যটকরা খুব শীঘ্রই নতুন দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে।’ জানা যাচ্ছে, পশু চিকিৎসকরা নিয়মিত মা এবং শাবকদের চিকিৎসা করছে। তারা যাতে সুস্থ থাকে সেই দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই সময় যাতে কেউ তাদের বিরক্ত না করে, সেই দিকেও অতিরিক্ত নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।