অধীর রঞ্জন চৌধুরী,নবাবের শহরে নবাবী মেজাজে দিনযাপন, ডবল হ্যাটট্রিকের ভোটে ‘স্থিতধী’ অধীরের – adhir ranjan chowdhury was seen active in whole day at baharampur lok sabha election


বলা হয়, বহরমপুর তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। যে আসন পাঁচবার জিতেছেন, সেখানে তিনি পুরনো রেসের ঘোড়া। তবে, গ্যালারিতে বসে খেলা দেখাটা তাঁর অভিধানে নেই। ষষ্ঠবারের জন্য সংসদ ভবনে ঢোকার নির্ণায়ক ম্যাচেও তাঁকে দেখা গেল মাঠেই। নিজের কেন্দ্রে এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে বেড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেসের ‘রবিনহুড’ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে অধীরের তরী পাড় করেছিল বহরমপুর ও কান্দি বিধানিসভা। বড়ঞা থেকে কংগ্রেস লিড পেলেও তাঁর মার্জিন খুবই কম। এবার বহরমপুরকেই টার্গেট করে দিনভর ভোট করালেন অধীর চৌধুরী। তবে, দিনভর মেজাজ ছিল ফুরফুরে। কোথাও মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি অধীরকে। ঠান্ডা মাথায় ‘ডিফেন্সিভ’ ব্যাট করে গেলেন অধীর, জয় এবারেও নিশ্চিত বলছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।

এদিন সকাল সাতটা নাগাদ কাডমবাজারের বাগানবাড়ি থেকে বার হন অধীর। লিপিক্স গার্ল, মোল্লা গেরে এলাকার বেশ কয়েকটি বুথে ঢুকে খোঁজখবর নেন। কোথাও ভোট কর্মীদের ভোট দ্রুত করানোর নির্দেশ দেন। বারবার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন গাড়ি থেকে নেমে। কখনও কাউকে জড়িয়ে ধরলেন। কোথাও কেউ এসে অধীরের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন, কেউ তুললেন সেলফি। শান্ত মেজাজেই সকালে একদফা বহরমপুর চষে বেড়ালেন।

বেলার দিকে, জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নেন। এরপর অধীরের কনভয় হরিদাসমাটি, অযোধ্যানগরে বহরমপুর শহর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকে। চালতিয়া, সুতিরমাঠ এলাকা চক্কর দিয়ে ফের হাজির হন দলীয় কার্যালয়ে। বহরমপুর ক্রএন কলেজ বুথে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের ধাক্কা খান অধীর। অধীর চৌধুরীর কনভয়ে সকাল থেকে প্রায় ৩০টি গাড়ি ঘুরছিল। বিশাল সংখ্যক সংবাদমাধ্যম নিয়ে বুথে বুথে ঘোরায় ভোটাররা প্রভাবিত হচ্ছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল।

অধীরের প্রচারে কেন বঙ্গে এলেন না রাহুল গান্ধী? মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ফের পার্টি অফিসে ফিরে আসেন। আধ ঘণ্টার মধ্যে আবার রওনা দেন দয়ানগর এলাকায়। সেখানে ডিএসপি অধীর চৌধুরীর কনভয় থেকে একটি নিরাপত্তা রক্ষীর গাড়ি সরিয়ে নিতে বলেন। তিনটি গাড়ির অনুমোদন নেই বলেই জানান। ডিএসপি সুশান্ত রাজবংশী নিজে এসে গাড়ির সংখা কমানোর জন্য বলেন। অধীরবাবু বলেন, আমার কনভয়ের সামনে ও পিছনে দুটি সিকিউরিটি গাড়ি সরকার অনুমোদন দিয়েছে। জানি না ওদের কি অসুবিধা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ বচসার পর অবশ্য তিনটি গাড়িরই অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এসব কিছুর মাঝেই তিনি ছিলেন সদা সক্রিয়। শেষমেশ তাঁর সুইংয়ে কি বোল্ড হবেন ইউসুফ? উত্তর মিলবে ৪ জুন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *