এর আগেও জওয়ানের মৃত্যু
এর আগে রাজ্যে ভোটের ডিউটিতে এসে আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। প্রথম দফার নির্বাচন শুরুর আগেই কোচবিহারের মাথাভাঙায় মৃত্যু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানের। মৃত ওই জওয়ানের নাম নীলেশ কুমার নীলু। সেই ঘটনার জেরেও প্রথম দফার নির্বাচনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ওই ঘটনাতেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই জওয়ানের মৃত্যু বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কোচবিহারের মাথাভাঙার বেলতলা এলাকায় একটি স্কুলে ভোটের ডিউটিতে ছিলেন নীলেশ কুমার নীলু নামে ওই জওয়ান। ভোটের ডিউটিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী রাজ্যে বিহার থেকে বাংলায় এসেছিলেন তিনি। প্রথম দফার নির্বাচনের আগের রাতে ওই জওয়ানের সহকর্মীরা তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর দ্রুত তাঁকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
মালদায় এক পুলিশ কর্মীরও মৃত্যু হয়
এখানেই শেষ হয়, ভোটের ডিউটিতে এসে মালদাতেও এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। মৃত ওই পুলিশ কর্মীর নাম নবীন মুক্তান। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবীন মুক্তান নামে ওই পুলিশ কর্মীর বয়স আনুমানিক ৪৩ বছর। তাঁর বাড়ি দার্জিলিং জেলার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের লামা রোড। সেখান থেকে মালদার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় ভোটের ডিউটি করতে এসেছিলেন নবীন। রাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পুলিশ কর্মী। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেদরাবাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থা আরও অবনতি হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নবীনকে। সেখানেই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।