ভোটের আগে বাংলায় অহরহ যাতায়াত গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ, একাধিক সভা করেছেন BJP-র হেভিওয়েটরা। এদিকে প্রায় দেড় মাস ধরে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে প্রচারের জন্য দৌড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, বঙ্গে ভোট প্রচারে সেভাবে দেখা যায়নি গান্ধী পরিবারের কাউকে। অধীরের হয়ে প্রচারে রাহুল গান্ধীর না আসা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী আসতে চেয়েছিলেন ১১ তারিখ। কিন্তু, আমার ১১ তারিখ অনেক কর্মসূচি ছিল, শেষ প্রচার ছিল। আমিই তাঁকে আসতে না করেছিলাম। বলেছিলাম, ম্যানেজ করে নেব। কোনও চিন্তা নেই। রাহুল গান্ধী কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে দুই দিন হেঁটেছেন। রাতে থেকেছেন। আর কী করবেন রাহুল গান্ধী?’
ভোটের আগের রাত থেকেই তৎপর দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে। রবিবার রাতে একটি সরকারি আবাসনে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছিলেন অধীর চৌধুরী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।
এদিকে ভোটের দিন তৃণমূলকে তোপ দেগে অধীর বলেন, ‘ইউসুফ পাঠানকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’ তাঁর সংযোজন ছিল, ‘সকাল থেকে কয়েকটা জায়গায় থেকে এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠছে। ইউসুফ পাঠান একজন বড় ক্রিকেটার। কিন্তু, তাঁকে সম্মান দেওয়ার কোনও ইচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই। যদি সাংসদ করার ছিল তাহলে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারতেন। আসলে তাঁকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু ভোটে বিভাজন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মোদী এবং বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করে তা সকলের জানা।’ একযোগে তিনি তৃণমূল এবং বিজেপিকে তোপ দাগেন।
ভোটের আগের রাত থেকেই তৎপর দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে। রবিবার রাতে একটি সরকারি আবাসনে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছিলেন অধীর চৌধুরী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল।
এদিকে ভোটের দিন তৃণমূলকে তোপ দেগে অধীর বলেন, ‘ইউসুফ পাঠানকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’ তাঁর সংযোজন ছিল, ‘সকাল থেকে কয়েকটা জায়গায় থেকে এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠছে। ইউসুফ পাঠান একজন বড় ক্রিকেটার। কিন্তু, তাঁকে সম্মান দেওয়ার কোনও ইচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই। যদি সাংসদ করার ছিল তাহলে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারতেন। আসলে তাঁকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু ভোটে বিভাজন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মোদী এবং বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করে তা সকলের জানা।’ একযোগে তিনি তৃণমূল এবং বিজেপিকে তোপ দাগেন।
উল্লেখ্য, এবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে সকলকে চমকে দিয়েছিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থী তালিকায় অন্যতম চমক ছিলেন এই তারকা প্রার্থী মতামত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
বহরমপুর কেন্দ্রের একাধিকবারের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই এলাকাটিকে তাঁর গড় বলা হয়। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে BJP প্রার্থী করেছে চিকিৎসক নির্মল সাহাকে। তবে আলোচনার কেন্দ্রে অধীর বনাম ইউসুফ ফাইট। এখন দেখার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে কি জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন অধীর! নাকি ইউসুফের হাত ধরেই আসবে পরিবর্তন? ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে সপ্তম দফার নির্বাচন এবং ফলাফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন।