জানা গিয়েছে, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে, কাকে করা হবে প্রার্থী তা নিয়ে দলের অন্দরে বিভিন্ন আলোচনা চলছিল। স্বপন মজুমদারকে যাতে প্রার্থী করা না হয় সেই জন্য দলের একটি বড় অংশ দরবার করেছিলেন রাজ্যসহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকিট পেয়েছেন স্বপনবাবু। দলের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
রাজ্য বিজেপির শীর্ষ এক নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক হওয়ার কারণে স্বপন মজুমদার টিকিট পেয়েছেন বলে দাবি অনেকের। স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরও এ নিয়ে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায় বারাসত বিজেপির অন্দরে। বিজেপির একটি বড় অংশ ভোট ময়দানে নামতে একেবারেই রাজি ছিলেন না বলেও জানা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে পরিস্থিতি বদল হওয়ায়, দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রাস্তায় নামতে দেখা যায় বিজেপির অন্দরের বিক্ষুব্ধদেরও। এই নমিনেশন পর্বের মাঝেই নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
জানা যায়, বিজেপির স্বপন মজুমদারের পাশাপাশি বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আরও একটি নমিনেশন জমা দেওয়া হয়েছে, যা দিয়েছেন সুময় হিরা। বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, এবার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিট পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন বিজেপির এই নেতা সুময় হিরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর কপালে অবশ্য শিঁকে ছেড়েনি। টিকিট পেয়েছেন স্বপন মজুমদার। আর তাই নির্বাচনী লড়াই লড়তেই সুময় হিরা নিজের মতো করে নমিনেশন দিয়েছেন।
বারাসত বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ কান্তি ঘোষ জানান, আমাদের দলের প্রার্থী স্বপন মজুমদার। আর উনি নিজের মতো করে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উনি দলের চিহ্ন পাবেন না। তাই স্ক্রুটিনির সময় ওঁনাকে নমিনেশন প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে নির্দল হিসাবেই লড়তে হবে। তৃণমূলের বক্তব্য, আসলে বিজেপি নিজের ঘর সামলাতে পুরোপুরি ব্যার্থ। তারা আবার বলে লোকসভায় জিতবে। আসলে মানুষকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।