সূত্রের খবর, সোমবার চন্ডীতলার জনাই ট্রেনিং স্কুলে শ্রীরামপুর লোকসভার অন্তর্গত দুটি বিধানসভা, চন্ডীতলা ও জাঙ্গীপাড়ার ইভিএম কমিশনিং চলছিল। অভিযোগ, মকপোল চলার সময় বিজেপির এজেন্ট অরূপ কুমার মালিক EVM-এর ব্যালট ইউনিট চুরি করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। মেশিন গোনার সময় তা ধরা পরে। এরপর সিসিটিভি দেখে বিজেপি এজেন্টকে চিহ্নিত করে নির্বচন কমিশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারীকরা। চন্ডীতলা থানার পুলিকে ডেকে বিজেপি এজেন্টকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিন কমিশনিং চলার সময় শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবির শংকর বোস জনাই স্কুলে যান। তিনি বলেন, ‘কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে বলতে পারব। আজ আমার প্রচার ছিল চন্ডীতলায়। সেখানে প্রচার শেষ করে জনাই ট্রেনিং স্কুলে গিয়েছিলাম। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী একজন প্রার্থী কমিশনিং দেখতে যেতে পারে তাই গিয়েছি।’ পরে কল্যাণকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমি তাকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ দিতে রাজি আছি।’
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কৌশিক শীলের অভিযোগ, বিজেপি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে চায়। তাই ইভিএম ব্যালট চুরি করে। বিষয় দেখার পর নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করেছে। বিজেপি প্রার্থী কবীর শংকর বোস যে ব্যালট চুরি করেছে, তাঁকে ছাড়াতে এসেছিলেন। লজ্জার আর কিছু নেই। বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তাই এসব করছে।
তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির এটাই চরিত্র। এখন থেকেই ব্যালট লুট করছে। ভোটের দিন শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থীরা তার গুন্ডা বাহিনী তৈরি করবে। উল্লেখ্য, এবার শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন কবীর শংকর বোস। কবীর শংকর বোস সম্পর্কে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।