বাগ আচরা গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ছোট দোকানে বসে সব্জি বিক্রি করেন জগন্নাথ। গোটা লোকসভা কেন্দ্রের অন্য কোথাও তো নয়ই, দু’একটি দেওয়ালে তাঁর নামে ভোট দেওয়ার আবেদন ছাড়া নিজের গ্রামেও তাঁকে ঘুরতে দেখেনি কেউ। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার! বছর আটান্নর জগন্নাথ নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে লেখা রয়েছে তাঁর কোন মেইল আইডি নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও অ্যাকাউন্টও নেই। বাড়ি, গাড়ি, কৃষিজমি, কমার্শিয়াল বিল্ডিং, জুয়েলারি কিছুই নেই। নগদ অর্থ (ক্যাশ ইন হ্যান্ড) আছে তিন হাজার টাকা। আর একটি ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় জমা আছে ৫৮৭ টাকা। ফলে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য ডিসিআর কাটার জন্য ২৫ হাজার টাকা কে দিল, প্রশ্ন উঠেছে।
ভোটের ব্যস্ত সময়েও নিয়ম করে যথারীতি সব্জি বিক্রি করেছেন তিনি। ভোটের প্রচারে বের হননি কেন? সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি শুধু বলেছেন, ‘রেজাল্টের পরে এ নিয়ে কথা বলবেন।’ বাগ আচরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির রুপালি বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের পঞ্চায়েতে বিজেপির বোর্ড। তৃণমূলের সদস্য বলতে মাত্র একজন। ওদের সেভাবে সংগঠন নেই বলে কেউ হয়তো তাঁকে মদত দিয়ে নির্দল প্রার্থী করেছেন।’
বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, ‘সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে তৃণমূলই ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ওঁকে ভোটে দাঁড় করিয়েছে।’ রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘একদমই মিথ্যা অভিযোগ বিজেপির।’
