আর বহরমপুর কেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ এখানকার কংগ্রেস প্রার্থী, লোকসভায় কংগ্রেসের বিদায়ী দলনেতা অধীর চৌধুরীর জন্য। বঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ জোট না-হওয়ার জন্য অধীরকেই বারবার কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা-অভিষেকরা। এবার সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য ইউসুফ পাঠানকে।
বাড়তি নজর থাকবে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী, লোকসভা থেকে গত বছর বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরের নতুন পিচে মাঠে নামা বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের দিকেও। মহুয়ার বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারের সদস্য বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় এবং দিলীপের বিরুদ্ধে আর এক বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য তৃণমূলের কীর্তি আজ়াদের লড়াই হচ্ছে।
দেশেরও একাধিক নজরকাড়া কেন্দ্রে আজ ভোট। পশ্চিমবঙ্গ-সহ মোট ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আজ ভাগ্যপরীক্ষা হবে প্রার্থীদের। তার মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরও। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথম কোনও নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছে কাশ্মীর। সারা দেশে বিজেপির প্রচারে মোদীর গ্যারান্টির অন্যতম উপাদান হিসেবে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলকে তুলে ধরা হয়েছে। সেই কাশ্মীরের ভরকেন্দ্রে বিজেপির ফলাফল কেমন হয়, তার দিকে তাকিয়ে আছেন অনেকেই।
কিন্তু বাংলায় সব থেকে বেশি নজর কাড়ছে অবশ্যই বীরভূম ও বোলপুর। অনুব্রত-হীন বীরভূম জেলায় দুই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী শতাব্দী রায় ও অসিত মাল। কেষ্ট কখনও প্রার্থী না-হলেও ফি বছর ভোট এলে তাঁকে ঘিরেই যাবতীয় নজর থাকত বিরোধী দলের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের। কখনও ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে’ বলে, কখনও ‘গুড় বাতাসা’ খাওয়ানোর দাওয়াই দিয়ে বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল রাজনৈতিক উত্তাপ চড়িয়ে দিতেন। সকন্যা অনুব্রত এখন তিহাড় জেলে বন্দি। তৃণমূলের কেউ কেউ স্লোগান তুলেছিল ‘তিহাড় থেকেই খেলা হবে’।
সত্যিই সেই খেলা হয় কি না, তার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু অনুব্রত না থাকলেও এই দফায় বীরভূমেই সবথেকে বেশি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা। বীরভূম এবং বোলপুর দু’টি আসন মিলিয়ে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৩৩৯টি। দু’টি কেন্দ্রের জন্য বীরভূম জেলায় মোট ১৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা ৩৭।
প্রথম তিন দফায় বাংলায় বড় কোনও অশান্তি ছাড়া ভোট সম্পন্ন হওয়ায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা তারিফ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব-সহ অন্য নির্বাচনী আধিকারিকদের। ভোটের বাকি দফাগুলিতেও বড় অশান্তি যাতে না-হয়, সেদিকে কড়া নজর থাকছে কমিশনের। ফলে প্রার্থীদের পাশাপাশি বড় পরীক্ষা কমিশনেরও।